
বিশ্বচরাচর ডেস্ক : হত্যার পর সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির টুকরো টুকরো দেহ বড় আকারের একটি ওভেন বা চুল্লিতে পোড়ানো হয়। এভাবে তিন দিন পুড়িয়ে গলিয়ে ফেলা হয়। ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাস থেকে ৫০০ মিটার দূরেই সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয় ওভেনটি।
এর তাপমাত্রা ছিল ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রা যেকোনো কঠিন ধাতুও গলিয়ে ফেলার জন্য যথেষ্ট। অর্থাৎ ওভেনটি ব্যবহার করা হয় হাড়-মাংসসহ খাশোগিকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার জন্য। আলজাজিরার এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৌদির ঘাতক দলের হাতে এই সাংবাদিক হত্যার বিষয়ে গত ৩ মার্চ রাতে বিস্তারিত তথ্য সংবলিত একটি অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র প্রচার করেছে আলজাজিরা আরবি।
এতে বলা হয়েছে, সৌদি কনসুলেটের ভেতরে খাশোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। পরে কয়েকটি ব্যাগে ভরে কয়েক শ মিটার দূরে অবস্থিত কনসুলেট জেনারেলের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ভেতরে তার মরদেহ পোড়ানো হয়। তুর্কি কর্মকর্তাদের তদন্তে পুরো বিষয়টি উঠে এসেছে।
খাশোগির মরদেহ পোড়ানোর জন্য চুল্লি নির্মাণকাজে জড়িত তুরস্কের এক শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে আলজাজিরা। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি কনসাল থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর এ চুল্লি নির্মাণ করা হয়। তাকে বলা হয়েছিল, এ চুল্লি হবে অনেক গভীর, তাপমাত্রা হবে এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে, যাতে যেকোনো ধরনের ধাতব পদার্থও গলে যায়।
শরীরের কোনো অংশ যাতে অবশিষ্ট না থাকে, সেজন্য হত্যাকাÐের পর খাসোগির মরদেহের টুকরো ওভেনে সিদ্ধ করা হয়েছিল।