ভারতীয় ক্রিকেটেও মি টু ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক :  যৌন হয়রানির প্রতিবাদে গড়ে ওঠা মি টু আন্দোলনের ঝাপটা লেগেছে এবার ভারতীয় ক্রিকেটে। অভিযুক্ত স্বয়ং বিসিসিআই সিইও রাহুল জোহরি। টুইটারে রাহুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ঘটনাটি তার বিসিসিআইয়ের যোগদানের আগের। বিষয়টি আমলে নিয়ে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ভারতীয় বোর্ডের প্রশাসক কমিটি। নোটিশের সাত দিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

টুইটারে রাহুলের একাধিক ই-মেইলের স্ট্রিনশট পোস্ট করে অভিযোগটি উত্থাপন করেন হারনিদ কাউর নামের এক লেখিকা। হারনিদ বিভিন্ন নারীর পক্ষে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে প্রমাণ উপস্থাপনের ধারাবাহিকতায় এ পোস্টটি করেন। তার ভাষ্যমতে, বর্তমান বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী এক নারীকে ওই ই-মেইলগুলো পাঠিয়েছিলেন। নাম প্রকাশ না করা ওই নারী ও রাহুল জহুরি ডিসকভারি চ্যানেলে কর্মরত থাকার সময় যৌন হয়রানির ঘটনাটি ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৬ সালে বিসিসিআইর দায়িত্ব নেওয়ার আগে ১৫ বছর ডিসকভারি এশিয়া প্যাসিফিকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার পদে কাজ করেছিলেন রাহুল। গত ১২ অক্টোবর অভিযোগ উঠলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। তবে বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে নড়েচড়ে বসে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। যার ধারাবাহিকতায় তাকে অভিযোগের বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৭ ও ১৮ অক্টোবর আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের বৈঠক আছে সিঙ্গাপুরে। ওই সভায় রাহুলের উপস্থিতি আটকানো হবে কি না জিজ্ঞেস করা হলে প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রায় বলেন, ব্যখ্যা পাওয়ার আগ পর্যন্ত তার নির্বাহী ক্ষমতাকে আমরা বাধা দিতে চাই না। আমাদের আইনি শাখা বিষয়টি বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে। পরে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাহুলের ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাহুল জোহরির আগে শ্রীলংকার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা ও পেসার লাসিথ মালিঙ্গার বিরুদ্ধেও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে।