ভালো নেই রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খান

ঠিকানা রিপোর্ট : ভালো নেই বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খান। চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। এ সময় তিনি তিনবার প্রাইভেট ক্লিনিকে পায়ের ব্যাথার চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে গত ৭ জুলাই হঠাৎ মস্তিষ্কে প্রচ- ব্যাথা অনুভব করলে তাৎক্ষণিক তাকে নিউইয়র্কের এলামহার্স্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্যাটস্ক্যানিংসহ রক্ত ও হার্টের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা অবস্থানের পর ডাক্তারগণ পূর্ণ বিশ্রাম ও নিয়মিত ওষুধ সেবনের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত বছর হিপ সংক্রান্ত জটিল অপারেশনের পর এ বছর ১৮ দিন ফলোআপ চিকিৎসা গ্রহণ করেন সাইপ্রাসের নিয়ার ইস্ট ইউনির্ভাসিটি হাসপাতালে। সেখানে দুই হাঁটু ও দুই বাহুর চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
আগামী ২৬ জুলাই সিরাজুল আলম খানের দেশে ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু নিউইয়র্ক এলামহার্স্ট হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে এক্ষুনি বড় ধরনের এবং দীর্ঘ বিমানযাত্রা পরবর্তি পরামর্শ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করার কথা বলাতে সিরাজুল আলম খানের বাংলাদেশে ফেরা বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতা শামসুদ্দিন আহমেদ শামীম আহমদের বাসায় অবস্থান করছেন এবং সেখানে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিচ্ছেন। এছাড়া নিয়মিত এলামহার্স্ট হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
উল্লেখ্য যে, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামে, ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ছাত্র নেতা, রাজনীতিবিদ। তিনি বাঙালির ‘জাতীয় রাষ্ট্র’ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬২ সনে গোপন সংগঠন ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন। নিউক্লিয়াস ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামেও পরিচিত। এছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ গঠন এবং ‘সিপাহী জনতার গণ-অভ্যুত্থান’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তিনি তিন মেয়াদে প্রায় ৭ বছর কারাভোগ করেন। কনভোকেশন মুভমেন্টের কারণে ’৬৩ সালের শেষ দিকে গ্রেপ্তার হন। ’৭৬ সালে জিয়ার আমলে আবার গ্রেপ্তার এবং ’৭৯ সালে মুক্তি পান। ’৯২ সালে বিদেশ যাবার প্রাক্কালে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ২৪ মার্চ সিরাজুল আলম খানকে গ্রেপ্তার করা হলে ৪ মাস পর হাইকোর্টের রায়ে মুক্তি পান।