ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই স্বাধীনতা এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

ঠিকানা অনলাইন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। আমরা এখন স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি।

আজ ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ১৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানের হাতে ‘একুশে পদক’ তুলে দেন।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমাদের মুখের ভাষা, মাতৃভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তারা উর্দুকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। বাংলার মানুষ সেটা মেনে নেয়নি। আজ বাংলাভাষা সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা লাভ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ওপর অন্যায় ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতো। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই ভাষা আন্দোলন গতি পায়। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেকবার কারাবরণ করেছেন তিনি।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক-২০২৩’ এর জন্য ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং দুটি সংস্থার নাম ঘোষণা করে সরকার। এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধে একজন, শিল্পকলায় আটজন (অভিনয়, সঙ্গীত, আবৃত্তি, চারু ও চিত্রকলা), রাজনীতিতে দুজন, শিক্ষায় এক ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবায় এক ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকতা, গবেষণা এবং ভাষা ও সাহিত্যে একজন করে পুরস্কার পেয়েছেন।

ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্পকলা বিভাগে অভিনয় ক্যাটাগরিতে মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ এবং সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর), আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা পুরস্কার পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে পুরস্কার পাচ্ছেন মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডা. মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর) এবং রাজনীতিতে আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পাচ্ছেন। শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এ পুরস্কার পাচ্ছে।

ঠিকানা/এসআর