ঠিকানা অনলাইন : দুই ম্যাচে হজম করেছে ১৬ গোল। কমলাপুরের মানহীন টার্ফে খেলে গুরুত্বপূর্ণ চার ফুটবলারকে হারিয়েছে। অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান। ভারত এবং নেপালের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া এই দলটির বিপক্ষে ফেভারিট বাংলাদেশ।
নেপালের বিপক্ষে জয় এবং ভারতের সঙ্গে ড্রয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার শেষ সিঁড়িতে শামসুন্নাহার-রুপ্না চাকমারা। কমলাপুর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ভুটানের সঙ্গে ১ পয়েন্ট পেলেই শিরোপা মঞ্চে পা রাখবে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। তবে ড্র নয়, প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালের প্রস্তুতি সারতে চান লাল-সবুজের মেয়েরা।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভুটানের ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগে বিকেল ৩টায় ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নেপালের। এদিন দুই ম্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতে চুড়ান্ত হবে টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্ট। লিগ ম্যাচের শীর্ষ পয়েন্টধারী দুটি দল আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় ফাইনাল খেলবে।
মেয়েদের বয়সভিত্তিক সব টুর্নামেন্টে ভুটানকে হারানোর সুখকর স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। তার ওপর এবারের আসরে ভারতের কাছে ১২-০ গোলে হেরেছে তারা। স্বাগতিকদের ফাইনালে ওঠার সমীকরণ ড্র হলেও, ভুটানকে হারানোর প্রত্যয় আফিদা-আকলিমাদের। শুধু জয় নয়, ভারতের মতো এই প্রতিপক্ষকে বড় ব্যবধানে হারানোর প্রত্যাশা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও আত্মবিশ্বাসী, ‘আমার কাছে সব দলই সমান শক্তিশালী। যেহেতু ভুটান আগের দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে, তাই আমরাও চাইব বড় জয়। তাই বলে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না।’
এই সাফে বাংলাদেশের মেয়েদের মারিয়া মান্ডা-মনিকা চাকমাদের মতো মনে হয়নি। বিশেষ করে মধ্যমাঠ এবং আক্রমণভাগে এলোমেলো ছিলেন মেয়েরা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে গোলরক্ষক রুপ্না অবিশ্বাস্য কয়েকটি সেভ না করলে গোলশূন্য ড্রয়ের পরিবর্তে পরাজিত দলে থাকত বাংলাদেশ।
ভুটান ম্যাচের আগে ছোটনের বড় দুশ্চিন্তা ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে, ‘আক্রমণভাগে আরেকটু গোছানো হতে হবে। আশা করি, ভুটানের বিপক্ষে ফরোয়ার্ডরা তাদের সেরাটা মেলে ধরবে।’
ভুটান কোচ কারমা দেমা তো বাংলাদেশকে শিরোপার অন্যতম দাবিদার বলে দিয়েছেন। ‘টুর্নামেন্ট তো শেষ আমাদের। ভয়ংকর একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানহীন টার্ফে খেলে আমার চার ফুটবলারের সাফ শেষ। বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে ভালো খেলার চেষ্টা করব আমরা।’
ঠিকানা/এসআর
