ভুয়াদের দাপটে বিব্রত কমিউনিটি

রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা চুপচাপ

ঠিকানা রিপোর্ট : বেশ কয়েক বছর আগের কথা। প্রবাসের নাম সর্বস্ব একটি সংগঠন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের আয়োজন করলো। সেই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হবে। সেই অনুষ্ঠানে কয়েকজনের গলায় লাল-সবুজের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হলো। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যে কয়জনকে সেদিন উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনেকেই এই প্রবাসে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। এখন তাদেরই দাপট চলছে এই কমিউনিটিতে। আর এই দাপটে বিব্রত বাংলাদেশি কমিউনিটি। অথচ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা একেবারেই চুপচাপ রয়েছেন।
নিউইয়র্কে যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারা বয়সের ভারে ন্যুব্জ। অনেকে একা চলাফেরা করতে পারেন না। পরিবারের আবেদনে আবার কেউ সরাসরি ইমিগ্র্যান্ট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। জীবনের অবসর সময় পার করছেন। অথচ প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে যারা দাপট দেখাচ্ছেন তাদের বয়স অপেক্ষাকৃত অনেক কম। এ নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে প্রায়ই নানা কথা শোনা যায়। অনেকে নানা কারণে প্রভাবশালী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা আক্ষেপ করে বলেছেন, দেশ অথবা প্রবাস, সবখানেই দেখছি একই অবস্থা। একসময় এসবের প্রতিবাদ করেছি। এখন শরীরে শক্তি নেই-সামর্থ্য নেই। শুধু দেখে যাই আর আফসোস করি।
নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় বসবাসরত একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কারণ এখন সবখানে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যায় যেমন পরিবর্তন আসে, তেমনি নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধাও গজিয়ে ওঠে। তিনি বলেন, একসময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে চাকরির কোটা ছিল। তখন শুধু চাকরির জন্য অনেকে পিতার নামে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন। এখন সেই সার্টিফিকেটধারীরাও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছেন। সরকার থেকে ভাতা পাচ্ছেন। অথচ দেশের আনাচে কানাচে বহু মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যারা সরকারি ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
প্রবাসে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যারা চুপচাপ আছেন। ইমিগ্রেশন জটিলতাসহ নানান কারণে দেশে যেতে পারছেন না। এ রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা দূরে থাক, স্বীকৃতিও মিলছে না।
নিউজার্সিতে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার রহমান আনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত সনদ রয়েছে তাঁর। যার নম্বর ১৩০২৪০। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রাষ্ট্রের কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। এমনকী তালিকায়ও তার নাম নেই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এক প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘আনোয়ার রহমান আনু আমার সাথে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গেরিলা অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে তার উজ্জ্বল অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি এক প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করেন, আনোয়ার রহমান আনু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বীর সৈনিক এবং একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে আমরা প্রথমে ত্রিপুরার মতিনগরে এবং পরে মেলাঘরে একসাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর ২ নং সেক্টরের ক্র্যাক প্লাটুনের অধীনে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমরা একসাথে গেরিলা অপারেশন করেছি, যা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বই-পুস্তকে উল্লেখ আছে।
ঢাকা উত্তর মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সেক্টর-২ রিইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাবিুল আলম বীর প্রতীক এবং ২ নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ প্রকাশক শহীদুল্লাহ খান আনোয়ার রহমান আনুকে তাদের সহযোদ্ধা হিসাবে বলছেন। অথচ কী কারণে আনোয়ার রহমান আনু সব কিছু থেকে বঞ্চিত তা বলতে পারেন না। জীবন সায়াহ্নে এসে দৌঁড়াতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউইয়র্কে বসবাসরত একাধিক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের ছড়াছড়ি। কে আসল আর কে ভূয়া কেউ তো চ্যালেঞ্জ করছেন না। এসব নিয়ে কথা বলতেই এখন খারাপ লাগে।
একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, বিভিন্ন সময় ঢাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসেন। তারা এসে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হন। বক্তৃতা দেন। এরপর চলেও যান। কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলেন না।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ৩৫তম ফোবানা সম্মেলনে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক। তার কাছে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ‘ভূয়া’দের ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন। মন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে খুব শিগগির এসবের সমাধান হয়ে যাবে। তাছাড়া প্রবাসে কেউ যদি ভূয়া পরিচয় দিয়ে চলে তাহলে তার কী-ই করার আছে?
এ প্রতিবেদক প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়দানকারী নেতৃস্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করেছিলেন ভূয়াদের নিয়ে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো- এক্ষেত্রে পাল্টাপাল্টি তথ্য এসেছে বেশী। একজন আরেকজনকে ভূয়া বলছেন
একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, এই প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার অনেকে ১০ বছর বয়সে ভারতে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করছেন। অথচ যারা প্রকৃতপক্ষে ভারতে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের কেউই বলছেন না যে তাদের সঙ্গে কোনো শিশু কখনো অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু কে করবে এই ভূয়াদের চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।
কমিউনিটির পরিচিত মুখ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ প্রতিবেদককে বলেন, একাত্তরে যাঁরা অস্ত্র হাতে সরাসরি পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন, অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী, সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ত্রাণ বিতরণসহ যাঁরা বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন, কলকাতায় স্থাপিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের পরিচালকমণ্ডলী, সাংবাদিক, ভাষ্যকার ও শিল্পীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে যারা অস্ত্র হাতে মাঠ পর্যায়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর নিয়মিত সদস্যবৃন্দ। এরা আগে থেকেই অস্ত্র ব্যবহারে এমনকী সম্মুখ সমরাভিযানে প্রশিক্ষিত ছিলেন। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। তাদের অধিকাংশই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ‘নিয়মিত বাহিনী’র সদস্য।
দ্বিতীয়ত: সাধারণ মানুষ যাঁরা বাংলাদশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন এবং ভারতের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অস্ত্রচালনা, বিস্ফোরকদ্রব্যের ব্যবহার ও গেরিলাযুদ্ধের কলাকৌশলে প্রশিক্ষণ লাভের পর দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সেগুলো ব্যবহার করেছিলেন। সংখ্যায় তারাই সর্বাধিক। তাদের বলা হতো ‘গণবাহিনী’। সামরিক প্রশিক্ষণের পরই তাদের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন কৃষক, শ্রমিক, ছাত্রসহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ।
টাঙ্গাইলের বঙ্গবীর আব্দুল কাদেরর সিদ্দীকীর (বীর উত্তম) নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত কাদেরিয়া বাহিনীর লোকজনও মুক্তিযোদ্ধা। তাদের অধিকাংশই প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাননি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দেশের ভেতরই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা।
তবে, কেবল ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে নতুনভাবে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে না ফিরে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। তাদের পৃথকভাবে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘মুজিব বাহিনী’। জীবন বাজি রেখে এসব মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছেন। অথচ এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে যারা কোনোদিন যুদ্ধ করেননি, তারা সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে এবং রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে অসৎ পথে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা গুমড়ে কেঁদে ওঠেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু এই আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানকে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানোর পর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে ফোন করে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন এবং একে অন্যকে ভূয়া বলেন। এমনকী অনুষ্ঠানে বসার আসন নিয়ে কথিত মুক্তিযোদ্ধারা ঠেলাধাক্কা শুরু করেন। এসব দেখে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা চুপচাপ হয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারি কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, এসব সমস্যার কারণে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে খুব সমস্যায় পড়ছি। এসবের সমাধান কোথায় এবং কে দিতে পারনে তাও জানি না। চাইলেও আমরা সনদ চাইতে পারি না। এটা তো সম্ভবও নয়।
নিউইয়র্কের সুপরিচিত একটি সাংস্কৃতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, বিজয়ের মাসে তারা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা থাকলে ভালো হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্যি হলো-দাওয়াত করা নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় এখন আর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণই জানাই না। তিনি বলেন, গড় আয়ূ হিসাব করলে আর কয়েক বছর পর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের মাঝে থাকবেন না। কিন্তু এই প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার অনেকে আছেন যারা এখনো টনটনা। বয়স হিসাব করলে যুদ্ধের সময় তাদের বয়স ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ছিল। তাহলে এত অল্প বয়সের মুক্তিযোদ্ধারা কী সবাই প্রবাসে চলে এসেছেন? -প্রশ্ন করেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে বিজয়ের মাসে প্রবাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানিয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এক বিবৃতিতে কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানোর আগে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা নম্বর যাচাইয়ের অনুরোধ জানিয়েছে। সংসদ বলছে- মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এই নম্বর যাচাই করার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটেরানস-১৯৭১ ইউএসএ এক বিবৃতিতে বলেছে, দুঃখজনক হলেও আমরা লক্ষ করছি সংবর্ধনা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি এমন ব্যক্তিদের সংবর্ধনা প্রদান করছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভেটেরানস-১৯৭১ ইউএসএ’র বিবৃতি প্রমাণ করে প্রবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি গুরুতর সমস্যা রয়েই গেছে। এর সমাধান কোথায় তা কেউ জানেন না।