ভোটাধিকার প্রয়োগ ও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন প্রবাসীরা

রাজনীতি ডেস্ক : প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে কোটি প্রবাসী বাংলাদেশির স্বপ্ন পূরণ হবে। এ বিষয়ে ১৯ এপ্রিল ৮ দেশে কর্মরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে সেমিনারে বসছে ইসি।
ইসি সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রবাসীদের ভোটার করতে ১৯ এপ্রিল সেমিনারের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। সেমিনারের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, প্রবাসীদের ভোটার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে প্রবাসী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, স্টেকহোল্ডার এবং ৮ দেশে কর্মরত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বসবে ইসি। তাদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে প্রবাসীদের প্রবাসে ভোটার করার কার্যক্রম শুরু হবে।
ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর ১১ ধারা অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোটার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ফলে দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার করার উদ্যোগ ইসির সফল হলে কোটির ওপর বাংলাদেশি প্রবাসীর স্বপ্ন পূরণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এসব বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। এটি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী দেখছেন। আমি শুনেছি, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করা হচ্ছে। এটি অনেক ভালো উদ্যোগ। আমি বিষয়টি সম্পর্কে আরও খোঁজ নেবো। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করা হলে তারা কি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশি ভোটার হলে তিনি যে কোনো স্থান থেকে ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন। তফসিলের পর তিনি যে কোনো স্থান থেকে প্রয়োজনীয় কাগজে স্বাক্ষর করে মনোনয়নপত্র ইসিতে জমা দিয়ে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে যদি নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার বিষয় থাকে সে ক্ষেত্রে প্রার্থী এলাকায় থাকলে ভালো হয়।
১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ২০ বছরেও সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। বিশ্বের ১৫৭টি দেশে কোটির উপর বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। বর্তমান কমিশনের এ উদ্যোগে তাদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের অবসান হবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা।
এর আগে ড. শামসুল হুদা কমিশনের দুই কমিশনার এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে যুক্তরাজ্য সফর করেছিলেন। এর পেছনে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। কিন্তু সে সময় প্রবাসীদের ভোটার করা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক প্রবাসী যথাসময়ে ভোটার হওয়ার জন্য দেশে আসার সুযোগ পান না। ফলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয় না।