ঠিকানা রিপোর্ট : প্রবাসে সিলেটবাসীর প্রাণের সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে সাসপেন্ড এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজকে শো’কজ করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের একটি রেস্টুরেন্টে কার্যকরী পরিষদ ও ট্রাস্ট্রি বোর্ডের এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংগঠনের সভাপতি বদরুল খানের সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বদরুন নাহার খান মিতা, সদরুন নূর এবং কাওছারুজ্জামান কয়েছ, সংগঠনের সহ-সভাপতি সফিউদ্দিন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক ফয়সাল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হোসেন আহমেদ, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহিদ আহমেদ খান, কার্যকরী সদস্য শামীম আহমদ এবং মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মানিক।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের শো’কজপ্রাপ্ত বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলামকে গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৬ ধারা ৭ (ক), অনুচ্ছেদ-৯ (গ) (ঘ), অনুচ্ছেদ ১৬ (৬) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সংগঠনবিরোধী কর্মক্রমের দায়ে সাময়িক সাসপেন্ড করা হয় এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সাবেক সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজকে গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৬ ধারা ৭ (ক), অনুচ্ছেদ- ৯ (গ) (ঘ), অনুচ্ছেদ ১৬ (৬) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সংগঠনবিরোধী কার্যক্রম ও সংগঠনের অর্থ তছরুপের দায়ে কেন আজীবন সদস্যপদ বাতিল হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নতুন কার্যকরী কমিটির কাছে রেখে যাওয়া বিদায়ী কমিটির নিউ জার্সিতে কবরস্থানের মর্গেজ পেমেন্ট আগামীতে জালালাবাদবাসীর স্বার্থে কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং কার্যকরী কমিটির কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আগামীতে পেমেন্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মইনুল ইসলাম ঠিকানাকে জানান, কার্যকরী কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ডের যৌথসভায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অগঠনতান্ত্রিক। এর কোনো বৈধতা নেই। তিনি বলেন, যৌথসভায় চারজন ট্রাস্টির মধ্যে একজন অনুপস্থিত ছিলেন এবং তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। অথচ তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
মইনুল ইসলাম দাবি করেন, তাকে ১৪ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। অথচ গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে ১৫ দিনের কথা। তিনি যথাক্রমে শোকজের জবাবও দিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমাকে আরো একটি শোকজ করা হয়েছে, যার মেয়াদ ১৫ দিন।