রাজনৈতিক ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপি ছাড়া সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সাংসদের জোটের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়াকার্স পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র একজন এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেমের কাছে মনোনয়পত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমার সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় নির্বাচনে প্রাপ্ত আসন অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। সংখ্যানুপাতিক হিসেবে এবার আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৩টি, বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ৪, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, বিএনপি ১ ও স্বতন্ত্র সাংসদরা জোট গড়ে একটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী বিএনপির কেউ শপথ না নেওয়ায় দলটির প্রাপ্য একটি সংরক্ষিত আসন স্থগিত রয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ১২ ফেব্রুয়ারি এসব মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে ৫০টি সংরক্ষিত আসনের প্রতিটির বিপরীতে একক প্রার্থী থাকায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারিই তাদের বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট ৪ মার্চ থাকলেও ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।
আওয়ামী লীগের ৪৩ জন : ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মোস্তাফা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ; খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা; কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম; গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা; জামালপুর থেকে হোসনে আরা; নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান শেফালী ও জাকিয়া পারভীন খানম; পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান; টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক; সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম; মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা; নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম; নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী; গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান; ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা; ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম; বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা; পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা; খুলনা থেকে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার; টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী; দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম; নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী; ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম; কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম; মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন; রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা; চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী; শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার; রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন; মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম; পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রতা আহমেদ।
জাতীয় পার্টির ৪ জন : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম, মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। দলটি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্রের একটি করে : ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান। তিনি দলটির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের স্ত্রী। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের বিপরীতে বরাদ্দ সংরক্ষিত আসনে সেলিনা ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি লক্ষীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।