মনোবিদ আনবে ক্রিকেট বোর্ড

স্পোর্টস রিপোর্ট : সেই ঘটনার পর কয়েক দিন পার হয়ে গেছে। ক্রিকেটাররাও নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছেন। কিন্তু চোখের সামনে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ দেখার অভিজ্ঞতা ভুলতে পারছেন না ক্রিকেটাররা। অনেক ক্রিকেটারই বলছেন, এখনও তারা রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা মানুষ হিসেবেই তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের জন্য জরুরি। সেই সাথে ক্রিকেটে মনোসংযোগ করতে হলেও এই ঘটনা ভুলে সামনে এগোনো দরকার। আপাতত বোর্ডের তরফে এ নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। তবে গত ১৮ মার্চ বিসিবি সভাপতি জানালেন, তারা মনোবিদ আনার চিন্তা করছেন।

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং ক্রিকেটারদের নিরাপদে দেশে ফেরার জন্য শুকরিয়া আদায়ের জন্য বিসিবি আয়োজন করেছিল এক বিশেষ মিলাদ মাহফিল। সেখানেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলছিলেন, ‘এ রকম কিছু (মনোবিদ আনার) চিন্তা করছি। আমরা ওদের অবজারভেশনে রেখেছি। তবে এ জন্যই যে মনোবিদ আসবে, তা নয়। আমরা ঠিক করেছি যে, সব মিলিয়ে, বিশ্বকাপ আছে সামনে তার আগে একজন মনোবিদ এসে যদি ওদের সাথে সময় কাটায় তা দলের জন্যই ভালো। তখন যদি কারো মনে হয় কারো বিশেষ কোনো হেল্প দরকার, তাহলে অবশ্যই তা নেওয়া হবে।’

এই ঘটনা বারবারই দেশের বাইরে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টা আলোচনায় আনছে। পাপন বলছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বাস্তবতায় এমন যে, এখানকার নিরাপত্তা নিয়ে এর আগে ভাবার প্রয়োজন হয়নি। তবে এখন থেকে যে ভাবতে হবে, সেটা স্বীকার করলেন তিনি, ‘আগে বাস্তবতা বুঝতে হবে। পাকিস্তানে নারী দল খেলতে যাওয়ার আগে আমরা কিন্তু নিরাপত্তার লোক পাঠিয়েছি। ডিজিএফআই থেকেও লোক পাঠিয়েছি। নিরাপত্তা বোঝার জন্য। পাকিস্তানে যেটা হয়েছে, বাংলাদেশের মতোই তারা নিরাপত্তা দিয়েছে। উপমহাদেশে নিরাপত্তা দেখি একরকম ভাবে। অন্য দেশে দেখেন, ক্রিকেট খেলার কথা বলি, ইউকেতে সিকিউরিটি একদম ভিন্ন। আমাদের মতো সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনা আমরা কোথাও দেখি না। আপনি যদি অস্ট্রেলিয়া যান, নিউজিল্যান্ড বা সাউথ আফ্রিকা যান, ওদের একেক জায়গায় একেক রকম। লন্ডনে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ছিল, সেখানেও সিকিউরিটি বলতে নাম মাত্র। সেখানে পুলিশ-বন্দুক-গাড়ি, এগুলো দেখাই যায় না। এটাই ওদের সিস্টেম।’

সামনে বাংলাদেশের দুটি বড় অভিযান বিশ্বকাপ এবং তার আগে আয়ারল্যান্ড সফর। বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে আইসিসি এরই মধ্যে পরিকল্পনা পাঠিয়ে দিয়েছে বোর্ডগুলোকে। আয়ারল্যান্ডে নিরাপত্তা কেমন থাকবে, সেটা নিয়ে এখনও কথা হয়নি বলেই পাপন জানালেন। তবে তারা নিরাপত্তা পরিকল্পনা পেয়ে তবেই সফর করবেন বলেই নিশ্চিত করেছেন, ‘আমরা এখন যে কোনো দেশে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চাইবো। সেটা ঠিক মতো প্রয়োগ হচ্ছে কি না, তা দেখতে কাউকে পাঠাবো। সিকিউরিটির লোকই পাঠানো হবে, ব্যাপারটা তা নয়। কাউকে পাঠানো হবে। দেখা হবে ওরা যা বলছে, তা ঠিক মতো আছে কি না। এরপর যদি মনে হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিবো।’