ঠিকানা অনলাইন : ময়মনসিংহের ফুলপুরে উদ্ধারের পর দাফন হওয়া মরদেহটি খুলনা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। উদ্ধারকৃত নারীর পোশাক ও অন্যান্য আলামত দেখে তিনি দাবি করেন, মরদেহটি তার মায়ের। দাবিতে অনড় আছেন মরিয়ম। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য থানায় লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।

ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘খুলনা থেকে মরিয়ম মান্নানসহ কয়েকজন থানায় এসে দাবি করেছেন, উদ্ধারকৃত অজ্ঞাতনামা ওই নারী তাদের মা। তারা ডিএনএ টেস্টের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের আবেদন গ্রহণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
মরিয়ম মান্নান বলেন, ‘২৭ দিন যাবৎ আমার মা নিখোঁজ। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের মাকে খুঁজছি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থানায় এক অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি। লাশের ছবি দেখে আমার মায়ের কপাল, হাত স্পষ্ট বোঝা গেছে। আমি মনে করি, মায়ের শরীর চিনতে কোনো প্রমাণ লাগে না। তার পরও আমরা অফিশিয়াল সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করব।’
নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে মরিয়ম মান্নান বলেন, ‘আমার মায়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে স্থানীয় মহীউদ্দীন, জুয়েল, বিল্লাল হোসেন ও হেলালের বিরোধ ছিল। এরই জেরে ওরা আমার মায়ের ওপর হামলাও করেছিল।’

ওসি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার বহরদার বাজারে অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। নারীর বয়স ৩০ থেকে ৩২ বছর হতে পারে। দুই দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর মরদেহটি দাফন করা হয়। তবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ টেস্ট করতে প্রয়োজনীয় আলামতও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানেরা নিচে নেমে ব্যবহৃত স্যান্ডেল, ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইয়ে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর প্রক্রিয়া মেনে ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।
ঠিকানা/এনআই