মহাকাশচারীর জিন বদলে গেছে!

ঠিকানা ডেস্ক : টানা বছরখানেক মহাকাশে কাটানোর প্রভাব পড়ল এক মহাকাশচারীর জিনে। মহাকাশ গবেষণাবিষয়ক মার্কিন সংস্থা (নাসা) সাম্প্র্রতিক এক প্রতিবেদনে চমকপ্রদ এ তথ্য জানিয়েছে।

পৃথিবীতে ফেরার পর স্কট কেলি নামের ওই মহাকাশচারীর জিনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় তাঁর যমজ ভাই মার্কের জিন। তাতে দেখা গেছে, স্কটের জিন ৭ শতাংশ বদলে গেছে।

নাসার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৪০ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে থাকার ফলে আগের চেয়ে প্রায় দুই ইঞ্চি লম্বা হয়ে গেছেন স্কট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড়ের গঠন, দৃষ্টিশক্তিসহ আরো অনেক শারীরিক পরিবর্তন ধরা পড়েছে তাঁর মধ্যে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অক্সিজেনের স্বল্পতার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনই এর প্রধান কারণ।

তবে স্কটের ঘটনা ‘স্পেস জিন’ নিয়ে গবেষণার একটা দিক খুলে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। মহাকাশে থাকাকালীন মানবদেহে কিছুু বিশেষ জিন সক্রিয় হয়ে ওঠে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নানা গবেষণা।

যমজ ভাইয়ের ওপরে এই পরীক্ষা বলেই নাসা এ প্রকল্পকে ‘টুইন স্টাডি’ নামে চিহ্নিত করেছে। সেই কারণেই স্কটের মহাকাশে যাওয়ার আগে এবং সেখান থেকে ফেরার পরে দুই ভাইয়ের জিন নিয়ে তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়। মার্কও সাবেক মহাকাশচারী। এবং তাঁরাই প্রথম যমজ মহাকাশচারী, যাঁদের ওপর এমন গবেষণা করা হলো।