মাতামুহুরী নদীতে ৫ শিক্ষার্থীর সলিল সমাধি

কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে ডুবে প্রাণ হারানো পাঁচ স্কুলছাত্রের মধ্যে চারজনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। গত ১৫ জুলাই বেলা ১১টায় মাতামুহুরী নদীর তীরে তাদের নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের হাজারো মানুষ অংশ নেন। অন্য দিকে তূর্যয় ভট্টাচার্যের মরদেহ কক্সবাজার সামাজিক শ্মশানে সাৎকাজ করা হয়।
স্থানীয়দের মতে, এটি ছিল চকরিয়ার স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজা। অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের শোকাহত মুসল্লি এ জানাজায় অংশ নেন। গত ১৪ জুলাই মাতামুহুরী নদীতে ডুবে যাওয়া পাঁচ ছাত্রের মধ্যে তিনজনকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হলেও অন্য দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা এসে রাত সাড়ে ১২টায় উদ্ধার করেন।
জানা যায়, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. ইলিয়াছ, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, পৌরমেয়র আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর উদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চকরিয়ার পৌর এলাকার প্রি-ক্যাডেট গ্রামার স্কুলের অষ্টম ও দশম শ্রেণির একদল ছাত্র অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে মাতামুহুরী নদীর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকায় ফুটবল খেলতে যায়। খেলা শেষে ছয় ছাত্র নদীতে গোসল করতে নেমে সবাই পানিতে তলিয়ে যায়। তাদের মধ্যে জামি নামে একজন কোনো রকমে সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও আমিনুল হোছাইন এমশাদ, আফতাব হোছাইন মেহরাব, মোহাম্মদ ফারহান, সাঈদ যাওয়াব আর্ভি ও তূর্যয় ভট্টাচার্য নদীতে তলিয়ে যায়।প্রি-ক্যাডেট গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নদীতে তলিয়ে যাওয়া এমশাদ ও মেহেরাব চকরিয়ার আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আনোয়ার হোছাইনের ছেলে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ছেলে অভি, তূর্যয় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জলি ভট্টাচার্যের ছেলে ও মোহাম্মদ ফারহান চকরিয়া হাসপাতাল এলাকার শওকত আলীর ছেলে।