মাধ্যমিকের সব স্তরে আগামী বছর থেকে কারিগরি শিক্ষা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সাধারণ শিক্ষায় অষ্টম বা নবম শ্রেণিতে একটি বা দু’টি ট্রেড চালু করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের জীবনে কাজে লাগাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসডিজি অর্জন ও উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের যোগ্যতা অর্জনে কারিগরি শিক্ষাকে অন্যতম টার্গেট ধরে এগোচ্ছে সরকার। এতে দেশের বেকারত্ব সমস্যার সমাধান হবে। কারিগরি শিক্ষার গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি সাধারণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসএসসি ভোকেশনালের কোন কোর্স খোলা যায়, তা যাছাই করতে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ঠিক করবে দেশের কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কী কী কোর্স খোলা হবে।’
রোববার (১৫ এপ্রিল) ‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেনিং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় আগামী বছর থেকে ট্রেড চালুর সুপারিশ করা হয়। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা চালুর করার সুপারিশ করা হয় কর্মশালায়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে অন্তত একটি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়। অষ্টম শ্রেণিতে ভোকেশনাল নেই। সে কারণে যদি অষ্টম শ্রেণিতে আগামী বছর শুরু নাও করা যায়, তাহলে নবম শ্রেণি থেকে সব শাখায় দুটি কারিগরি ট্রেড বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কোন ক্লাস থেকে আগামী বছর তা শুরু করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব হাই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কারিগরি শাখা চালু করা হবে পর্যায়ক্রমে। প্রাথমিক স্তর থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হবে সিলেবাসে। তবে শিক্ষক সংকট, সিলেবাস, অবকাঠামোসহ বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে এ ক্ষেত্রে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন ও উন্নত দেশে পরিণত হতে মন্ত্রণালয় কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।