মিশুক সেলিম : “মানুষ মানুষের জন্য” বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারীকার গানের প্রতিটি শব্দ মানবতার কল্যাণে আমাদের উৎসর্গ করতে শেখায়। শেখায় একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন অসহায় মানুষের কল্যাণে অথবা সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে। আসুন না, একটা ভালো কাজে আমরা সবাই এগিয়ে আসি।
বলছিলাম-নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত বাংলা টিভির মহাপরিচালক, আমেরিকা- বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি, আমাদের বন্ধু স্বজন, হৃদয়বান, মানবদরদী, সমাজসেবক, আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যারা নিরলস শ্রম, মেধা ও দিক নির্দেশনা দিয়ে এসেছেন তাদের একজন মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান সাংবাদিক মীর ওয়াজিদ শিবলীর কথা।
মীর শিবলীর দুটো কিডনিই অচল, কাজ করছে না, প্রয়োজন কিডনি প্রতিস্থাপন। আমেরিকায় এই চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। বাংলাদেশ অথবা ভারতে হাসপাতালে রেখে কিডনি প্রতিস্থাপন অনেক ব্যয় বহুল। কাজটি আমাদের কারও একা বা ক’জন বন্ধু বা আত্মীয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
সাধারণত কিডনি রোগে যারা আক্রান্ত হন, তারা শুধু নিজেরাই কষ্ট পান না, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে রোগীর পরিবারকেও তীব্র সমস্যায় পড়তে হয়।
আমাদের একটু সময় দান, একটু শ্রমদান, কিছু অর্থ- সহযোগিতা নিয়ে সকলে আমরা শিবলী, তার স্ত্রী ইভা ও তাদের মেয়ে রূপন্তীর পাশে দাঁড়ালে এই পরিবারটিকে আবার সুস্থ সবল সচল আনন্দময় জীবনের দিকে ফেরাতে পারি।
মীর ই ওয়াজিদ শিবলীর ফান্ড রেউজিং অনুষ্ঠানটি আগামী ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় উডসাইডের কুইন্স প্লেসে অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানে এসে একটু সহযোগিতার হাত বাড়ান। একটি জীবনকে বাঁচান। জীবন বাঁচানো বা মানব সেবার চাইতে এই পৃথিবীতে উত্তম কাজ আর নেই। প্রতিদিন এবং প্রতিনিয়ত আমরা কতনা অর্থ নষ্ট করছি, সেই অর্থে যদি একটি জীবন বাঁচে তার চেয়ে বড় কাজ আর কী হতে পারে!
মীর ই ওয়াজিদ শিবলীতো আমারই বন্ধু, আপনারই ভাই, এই কম্যুনিটির আপনজন। এই কম্যুনিটি বিনির্মাণে তারও ভূমিকা ছিলো। যে এত দিন মানুষকে সহযোগিতা করেছে, আজকে তারই সহযোগিতার প্রয়োজন। এটাই কী প্রকৃতির নিয়ম? তা না হলে এমন হবে কেন? আমার মত, আপনার মত বা অন্য ১০ জনের মতই শিবলী স্ত্রী এবং সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে চান? আমরা কী এভাবে চিন্তা করতে পারি না- শিবলী আমাদের ভাই, ইভা আমাদের বোন আর রূপন্তী আমাদের সন্তান। নিজের ভাই, বোন এবং সন্তান অর্থের অভাবে মারা যাবে- সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে আমেরিকার মত দেশে থেকে আমরা কী তা মেনে নিতে পারি! বা মেনে নেয়া উচিত!!
শিবলীকে বাঁচাতে এবং তার পরিবারকে আমরা কী পারি না- সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে- সুন্দর এই পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে? অবশ্যই পারি- আসুন আমরা তা প্রমাণ করি ১৫ জুলাই। জয় হোক মানবতার, জয় হোক আপনাদের, বেঁচে থাকুক শিবলী আমাদেরই মাঝে সুন্দও এ পৃথিবীতে।