রাজিনা চৌধুরী :
মানবতা জ্বলন্ত মশালের পাশে নিদ্রিত। সে অবস্থায় দেখে নিষিদ্ধ পল্লির কর্মী।
কর্মীটি বলতে শুরু করল-
সে আশ্চর্য মশাল, কত প্রাণে আলো প্রজ্জ্বলন করে আজ কেন শীতল হয়ে ঝরনার জলে নিমজ্জিত।
তুমি কি ভয় পাচ্ছ?
কারাগার, বিচারবিহীন মৃত্যু নাকি ধর্ষণের!
হে মানবতা-
তুমি জ্বলন্ত মশাল থেকে একটি জীবন্ত উত্তাপের জন্ম দাও,
যা অনন্তকাল ধরে অবিকল বেঁচে থাকবে।
অনিয়মের কালো চাদরে ঢেকে যাচ্ছে দশ দিক, দিশেহারা নেতারা।
দৈন্য এ জাতির জন্য আজ আগুনের দুর্জয় তাপের খুবই প্রয়োজন।
রুগ্্ণ এ জাতিকে আরোগ্য দান করো।
অনেক নির্যাতিতের চোখে দেখেছি এক আশ্চর্য জ্বলন্ত মশাল, তাদের বুক ছিল ভগ্ন!
ভগ্ন এ বুকে সে মশাল আগুনের ছোঁয়া দাও। যেন বৈষম্যের অন্ধ কুটির থেকে সবাই সোচ্চার হয়।
ভেঙে ফেলে রুগ্্ণ ভয়াল হতাশা, অযোগ্যতা চিহ্নিত করে জয় করতে পারে এক দুর্বার আগুন।
আর কত নিদ্রা যাবে হে মানবতা, জাগো জাগো তুমি তোমার নিজস্ব দাবানলে।