মানিকগঞ্জে তরুণীকে আটকে ধর্ষণ

দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও জোর করে ইয়াবা সেবনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী গত ১১ ফেব্রæয়ারি রাতে সাটুরিয়া থানায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

অভিযুক্তরা হচ্ছেন- সাটুরিয়া থানায় উপপুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।

গত ১০ ফেব্রæয়ারি পুলিশ সুপার রিফাত রহমানের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দেন। এর ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকী গত ১১ ফেব্রæয়ারি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন।

হাফিজুর রহমান জানান, সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয় নিয়ে গত ১১ ফেব্রæয়ারি তদন্ত করা হয়। কমিটির কাছে নির্যাতনের শিকার তরুণী তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। প্রাথমিক তদন্তে ওই তরুণীর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই ওই তরুণী সাটুরিয়া থানায় উপপুলিশ পরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করবেন সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণের জন্য ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা ও প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হবে। অপরাধীকে পুলিশ সদস্য হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সাটুরিয়া অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুর ইসলাম জানান, দুই আসামি বর্তমানে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।