মায়ের মৃত্যুতে একবারই কেঁদেছিলেন প্রিন্স হ্যারি

মায়ের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি

ঠিকানা অনলাইন : ব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকার হিসেবে প্রিন্স হ্যারি ও প্রিন্স উইলিয়ামের পরিচিতি বিশ্বজোড়া। তাদের মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা রাজপরিবারের পুত্রবধূ হয়েও জিতে নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের মন। ফলে ডায়ানার দুই সন্তানকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল কম নয়। এবার প্রিন্স হ্যারি জানালেন, প্যারিসে ১৯৯৭ সালে তার মায়ের মৃত্যুতে পুরো দুনিয়া শোকাহত হলেও তিনি কেঁদেছিলেন একবারই। আগামী ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ডিউক অব সাসেক্সের আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার।’ এ নিয়ে একটি প্রচারণামূলক সাক্ষাৎকারে রীতিমত বোমা ফাটালেন প্রিন্স হ্যারি। জানালেন, মায়ের মৃত্যুর পর জনসম্মুখে তিনি ও তার ভাই উইলিয়াম আবেগপ্রকাশে কতটা অক্ষম ছিলেন। এ নিয়ে ‘কিছু অপরাধবোধ’ও রয়েছে তার।

বিশেষ করে যখন কেনসিংটন প্যালেসের বাইরে মানুষের ফুল দিয়ে যায়। সাধারণ মানুষের কাছে কেনসিংটন প্যালেস আর তার চারপাশের বাগানটাই ডায়ানার স্মৃতির প্রতীক। প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনীটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় স্পেনে। আর সেই থেকে চলছে স্পেয়ার নিয়ে চর্চা। বইটির একটি কপি হাতে আসার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যটি বইাট অনুবাদের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচারণামূলক সাক্ষাৎকারটিতে ডায়ানার মৃত্যু পরবর্তী ভিডিও ফুটেজ দেখে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন হ্যারি। তিনি জানান, তার মায়ের কাছে ৫০ হাজার ফুলের তোড়া এসেছিল। কিন্তু তিনি ও তার ভাই উইলিয়াম সেদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন এবং হাসছিলেন।

হ্যারি বলেন, ‘আমরা যখন তাদের (সাধারণ মানুষ) সঙ্গে হাত মেলাই, তাদের হাত ভেজা ছিল। তখন বুঝতে পারিনি তাদের হাত কেন ভেজা ছিল। আসলে এটি ছিল মায়ের জন্য নেমে আসা অশ্রু, যা তারা হাতের তালুতে মুছে ফেলেছিল। তারা সবাই অনুভব করেছিল, তারা আমাদের মাকে জানে এবং তার সবচেয়ে কাছের দুজন মানুষ সেই মুহূর্তে কোনো আবেগ প্রকাশে অক্ষম ছিল।’

স্পেয়ারের মধ্যে রয়েছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মায়ের কফিনের পেছনে প্রিন্স হ্যারির হাঁটার বিবরণ। তিনি আরও জানান, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও তিনি বাবা প্রিন্স চার্লসকে (বর্তমানে কিং) জড়িয়ে ধরেননি। এর আগে স্পেয়ারে উল্লেখ করা দুটি ঘটনা ফাঁস করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। এর মধ্যে একটি ভাই উইলিয়ামের সঙ্গে ঝগড়া এবং কিং চার্লস তার ‘সত্যিকারের বাবা নন’ সম্পর্কিত উদ্ভট রসিকতা ছিল।

ঠিকানা/এম