মার্কিন নির্বাচনে জয় পেলেন দুই বাংলাদেশি, লড়াই করে হারলেন দুই নারী

ঠিকানা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জর্জিয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে জয় পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান শেখ রহমান ও আবুল খান।

অন্যদিকে লড়াই করে হেরেছেন দুই বাংলাদেশি নারী ডোনা ইমাম ও ড. নীনা আহমেদ।

জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান চন্দন। এবার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে তিনি এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। গত ৯ জুন হওয়া দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কেউ অংশ নেয়নি। একই সঙ্গে সিনেট ডিস্ট্রিক্ট আসন ৫-এ কোনো প্রার্থী দেয়নি রিপাবলিকানরা। ফলে শেখ রহমান নিশ্চিতভাবেই বিজয়ী হন।

নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান সব প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা এবং মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেটের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে চূড়ান্ত বিজয় পেয়েছেন আবুল বি খান। ডিস্ট্রিক্ট রকিংহাম ডিস্ট্রিক্ট-২০ অনেক দিন ধরে রিপাবলিকানদের দখলে। এর আগে পরপর তিনবার তিনি ওই আসন থেকে বিজয়ীও হয়েছিলেন। এবারও ফল ধরে রাখলেন তিনি। এর আগে আবুল খান স্টেটে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে ছিলেন। আবুল বি খানের জন্ম বাংলাদেশের পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায়। ১৯৮১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় কংগ্রেসে টেক্সাসের আসন ৩১ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে অংশ নিয়ে লড়াই করেই হেরেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডোনা ইমাম।

ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে, ওই আসনে ডোনা ইমাম ৪৪.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান পার্টির জন কার্টার ৫৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আগে অনেক বড় ব্যবধানে তিনি জিতলেও এবার ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছেন ডোনা। ডোনা পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯৪ ভোট।

এ ছাড়া আশা জাগিয়েও পেনসিলভানিয়ার অডিটর জেনারেল পদে ড. নীনা আহমেদ পরাজিত হয়েছেন। এর আগে ওই স্টেটের রাজধানী ফিলাডেলফিয়ার ডেপুটি মেয়র এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন ড. নীনা।

নীনা আহমেদ ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে সেখানে লড়েছেন। এখন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত মোট ভোট ৫ লাখ ৭০ হাজার। নীনা আহমেদ তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান টি ডিফুর থেকে প্রায় ১ লাখ ৯৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৭ লাখ ৬৪ হাজার। ফিলাডেলফিয়ার মেইল ইন ভোট এখনো যোগ হয়নি।

ঠিকানা/এনআই