
ঠিকানা রিপোর্ট : বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও যুব ফোরামের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়েছেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কিছু নেতা সেলফি তুলে লন্ডন ও কেন্দ্রে পাঠিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত ৭ মে রোববার সন্ধ্যায় ব্রুকলিনের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়াকে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে ফোরামের নেতা নাঈম টুটুলসহ ৫০জনকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি নাঈম টুটুল। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ রুমেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম ১ মে সোমবার। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা হয়। এতে বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রায় ৬ জন নেতাকর্মি আহত হন। ডিসি’র সমাবেশে ফোরামের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মি উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। অথচ ঘটনার অনেক পরে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কিছু নেতা উপস্থিত হয়ে সেলফি তুলে তা লন্ডন ও কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অবহেলিত থেকে যাচ্ছেন। এমনকী বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও যুব ফোরামের কৃতিত্বকে ধুলিস্যাৎ করতে চান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলা হয়, বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও যুব ফোরাম আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। আপনারা আমাদের ঐক্যকে নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না।
ওয়াশিংটন ডিসিতে আওয়ামী লীগের হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনটি পরে প্রতিবাদ সভায় পরিণত হয়।এতে বক্তব্য দেন সালেহ আহমেদ মানিক, শামীম আহমেদ, রিপন মিয়া, বাদল মির্জা, রাহিমুল ইসলাম, দুলাল মাহমুদ, আলমগীর হোসেন, কাউসার আহমেদ, মির্জা আযম, মোরসালীন হোসেন, হেলাল খান, আলী মাসুদ, ইসমাইল হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ, নাজমুল ইসলাম ও তোফায়েল আহমেদ।
বক্তারা বলেন, ওয়াশিংটনের বিক্ষোভ সমাবেশে বেবি নাজনীন ও জসিম ভূঁইয়া প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। তাদের নেতৃত্বেই সমাবেশটি সফল হয়েছে। জসিম ভূইয়া প্রমান করেছেন কীভাবে সফল আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়।