ঢাকা : ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। গত ৪ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ক‚টনীতিতে এটা একটা বড় ধরনের অগ্রগতি। এই প্রস্তাবের লক্ষ্য হলোÑ রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নের সুরাহা করাও প্রস্তাবের অন্যতম লক্ষ্য।
এ প্রস্তাবের ফলে আইসিজে’র মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ইস্যুটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে পাঠাবে ওআইসি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেসব বিষয়ই খতিয়ে দেখবে আইসিজে।
এ প্রস্তাব পাস করার মাধ্যমে ওআইসি বিষয়টি আন্তর্জাতিক এ আদালতে তুলবে। গাম্বিয়ার নেতৃত্বে ১০ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রী পর্যায়ের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রস্তাব পাসের প্রক্রিয়া শুরু করে। ১০ ফেব্রুয়ারি বানজুলে গাম্বিয়ার কো-চেয়ারে কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। বিশেষ করে গণহত্যা সংক্রান্ত কনভেনশন এবং অপরাপর কনভেনশন বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়ার এটাই প্রথম ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, কমিটির সিদ্ধান্তটি পরিপূর্ণ প্রস্তাব আকারে পাস হয়েছে। আবুধাবিতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৪৬তম বৈঠকের শেষদিনে প্রস্তাবটি অনুমোদন লাভ করে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।