মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির ৫০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ

ঠিকানা ডেস্ক: ৩ শতাধিক মহিলা এবং বালিকার সেক্স-অ্যাবিউজ অভিযোগ আপোষ-নিষ্পত্তি করার জন্য মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি ৫০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধে সম্মত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টসের ইতিহাসে স্পোর্টস ডক্টর লেরী নাসার সর্বাপেক্ষা বাজে সেক্স-অ্যাবিউজের আপোষরফা করতে গিয়ে এ মোটা অঙ্কের খেসারতি দিতে হচ্ছে বলে কর্মকর্তাগণ জানান।
এর আগে সহকারী ফুটবল কোচ জেরী স্যান্ডাকির বিরুদ্ধে ৩৫ জন সেক্সুয়াল অ্যাবিউজের অভিযোগ উঠানোর পর তা নিষ্পত্তি করতে পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছিল। মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রায়ান ব্রেসলিন ২০ মে বলেন, অভিযোগকারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দুর্ভোগ এবং মর্মপীড়ার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং আশপাশের কমিউনিটিতে সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিহতের জন্য ব্যাপক পরিবর্তন আনয়ন করেছি। অভিযোগকারী প্রত্যেককে সমান পরিমাণ অর্থ প্রদান করার কথা জানা গেলে তারা জনপ্রতি কত ডলার পাবেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কেন্টাকীর লুইসভিলের বাসিন্দা রাচায়েল ডেনহোলান্ডারই ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম নাসারের বিরুদ্ধে সেক্স অ্যাসল্টের অভিযোগ আনয়ন করেছিলেন। উক্ত আপোষরফার ফলে মূলত মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মর্যাদা ও ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ৫৪ বছর বয়স্ক চিকিৎসক নাসার মিশিগান স্টেট অফিসে ক্যাম্পাস অ্যাথলেটস ও কমবয়সী শরীরচচাবিদ এবং অলিম্পিয়ানদের প্রশিক্ষণদাতা ইউএসএ জিমনাস্টিকসে চিকিৎসা পরিষেবা দান করত।
মধ্যস্থতাকারীর সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩৩২জন বাদির আইনজীবীগণ এই সমঝোতায় উপনীত হন বলে জানা যায়। চুক্তিনামা অনুসারে বর্তমান অভিযোগকারীদের মধ্যে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার বিলি করা হবে এবং ভবিষ্যত অভিযোগকারীদের জন্য ৭৫ মিলিয়ন ডলার আপাতত সংরক্ষণ করা হবে। আইনজীবীদের অর্থও ৫০০ মিলিয়ন ডলার থেকেই প্রদান করা হবে। ১৯৯০ এর দশক থেকে যে কোন অভিযোগ অবজ্ঞা করা কিংবা খারিজ করে দেয়ার দায়ে মিশিগান স্টেট উইনিভার্সিটিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নাসার বস এবং মেডিক্যাল স্কুলের সাবেক ডীন উইলিয়াম স্ট্রামপেলের বিরুদ্ধেও যৌন অসদাচরণ এবং নাসারের কর্মকান্ড সঠিকভাবে তদারকি করতে না পারার অভিযোগ উঠেছিল। এদিকে চিকিৎসার আড়ালে মহিলা এবং বালিকাদের উত্যক্ত করার অভিযোগ নাসার স্বীকার করেছিল।