মুজিবের বাংলায় বার্ণিকাটকে স্বাগতম

সেই সব নানা রঙের দিনগুলি (পর্ব-১৫)

শামসুল আরেফিন খান

“ধন্য আশা কুহকিনী। তোমার মায়ায় আশার সংসার চক্র ঘোরে নিরবধি?//দাঁড়াইতো স্থিরভাবে , চলিত না,হায় //মন্ত্রবলে তুমি চক্র না ঘুরাতে যদি “
কবিগণ লিখেছেন যা কিছু যুগে যুগে সবই কী তাদের স্বপ্নের মায়ামৃগ, “বিচিত্র গগনফুল কল্পনা লতার”? তাইবা বলি কেমন করে? আর সেই যে আহাজারি : হূতাশন অনুক্ষণ- “আর কত ঘুরাবি মা চোখ বাঁধা কলুর বলদের মত?” সেও তো দেখি এক কঠিন বাস্তব আজকের যুগেও।যদিও সেই কলু নেই। কিন্ত বলদ আছে,- জোয়ান বুড়ো, ছোট বড়, নতুন পুরানো, নানা বর্ণে নানা ঢঙে তারা নেচে বেড়ায়। এবং তেলের তেলেসমাতিও আছে। কলুর বলদ নেই। কলের বলদ আছে। সেই বলদ ঘুরছে বন বন করে। তার পিছনে ছুটছে মানুষ আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে।মানুষ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করে, সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে। ক্ষুদিরাম, বরকত, সালাম -রফিক- জব্বার -রাম-শ্যাম -যদু- মধু – শাহা দিপালী ও নজরুল – তাজুদ্দিনরা দুঃস্বপ্নের বেড়াজাল ডিঙিয়ে বেরিয়ে আসে স্বপ্ন পূরণের উঠোনে। মানুষের স্বপ্ন যে বৃথা যায়না তার নগদ প্রমান আমাদের এই বাংলাদেশ। যে আকাশে মুজিবের স্বপ্ন পাখা মেলে, সেই উদার বিস্তৃতিতে শকুনও উড়ে বেড়ায়। সেখানে রাবনের বিভীষণ, সিজারের ব্রুটাস, যীশুর জুডাস,সিরাজের মীর জাফরদের প্রেতাত্মারাও পাখা ঝাপটায়।কথায় বলে শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। গরু মরলে তবে শকুন পড়ে। কিন্তু শকুনের বা গৃধ্নুর স্বপ্ন যদি পবিত্র হয় তাহলে বিলম্বে হলেও কখনও কখনও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়। শকুন যে স্বপ্ন দেখে এবং সেটা যে পবিত্র হতে পারে, এমন কথা বোধ হয় কেউ কখনও শোনেনি। তাই আমার কথাটা একটু নতুন মনে হতে পারে। কিন্তু গল্পটা বেশ পুরানো। গল্পটা একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের।তার নাম জন লিঙটন স্টুয়ার্ট। তিনি ছিলেন চিয়াং কাইশেকের পৃষ্ঠপোষক-বন্ধু দার্শনিক এবং পথ পরিদর্শক বা বাতিঘর।তার তো একটাই স্বপ্ন ছিল যে মাও সেতুঙ এর বিপ্লব মুখ থুবড়ে পড়বে। একশ’ কোটির মধ্যে দুচার কোটি মরে যাবে। পৃথিবী আঁতকে উঠবে। ঠিক তেমনই একাত্তরে পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নেশার ঘোরে ভেবেছিলেন,“তিরিশ লাখ বাঙালি খুন হলে বাদবাকি সবাই দুমুঠো ভাতের জন্য মাথা নত করে হাটু ভেঙে গিড় গিড় করবে”। আর কেউ কখনও বিপ্লবের স্বপ্ন দেখবে না।
স্টুয়ার্ট স্বপ্ন দেখেছিলেন, চিয়াং কাইশেক তার জাতীয়তাবাদী দেশে ধনী দরিদ্র সবার জন্যে ‘সমতল ও বৈষম্যহীন খেলার মাঠের’ ব্যবস্থা করবে। সে দেশে কবরের শান্তি বিরাজ করবে। সেখানে অংশীদারিত্বমূলক গণতন্ত্র আসবে। বড়লোক ছোটলোক সবাই ভোট দিয়ে কিংবা না দিয়ে, কিছু বড়লোককে ক্ষমতায় বসাবে। ছোটলোকরা কোন ঝুট ঝামেলা করবে না। হাঙামা করবে না। মনে কোন ঈর্ষা পোষন করবে না। ছোট মুখে বড় কথা বলবে না। যে বড় সে বড় থাকবে। যে ছোট সে কেবল সংখ্যার জোরে বড় গাছের উপরে উঠে তালগাছ হওয়ার ঔদ্ধত্ব প্রকাশ করবে না।
চিয়াঙ কাইশেকের রাজধানীর নাম ছিল ‘নানকিং’। পরে সেটা হ’ল ‘নানজিঙ’। যেমন পিকিঙ হয়ে গেলো বেজিঙ। মাও সেতুঙ হয়ে গেলেন মাও জেদঙ্। আমি সেই তিনটাই দেখেছি স্বচক্ষে। বলা চলে আমার একটা পূন্য স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। মাও জেদঙকে দেখেছি চির নিদ্রায় শায়িত। কিন্তু কবরে না। মাটির উপরে স্নিগ্ধ শয়ানে ; মনোরম কক্ষে ; যেখানে সফল বিপ্লবের পরে তাঁর শান্তি শয়ান নির্ধারিত হযেছিল বেজিঙ মহানগরীতে। কী পরিচ্ছন্ন, কী সজীব ,কী প্রাণবন্ত সে প্রাণহীন মুখাবয়ব। না দেখে বিশ্বাস করা যায়না। ইংরেজী “সি ইং ইজ বিলিভিং” কথাটা এখানে খুবই প্রযোজ্য।
দেখেছি পিকিঙ মহানগরী। দেখেছি তার অতীত,- সেই ‘নিষিদ্ধ নগরী’, যেখানে লুপ্ত ও সুপ্ত রয়েছে কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন ‘রক্তচোষা’ আভিজাত্যের রকম সকম ও ঠুমরি ঠমক। প্রাচীন নিদর্শনগুলো সযত্নে সংরক্ষিত রয়েছে। সে সবই চীনের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ। তারই পাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে গনমানুষের মহাচীন। দেখেছি সেই সমূদ্রের মত প্রসার নিয়ে দাঁড়িযে থাকা মহাসড়ক “তিয়েন মিয়েন স্কোয়ার”, যেখানে দাঁড়িয়ে মাও জে দঙ বলেছিলেন , “চীন নিজের পায়ে উঠে দাঁড়িয়েছে।” সেই থেকে বিপ্লবের সংঞ্জা বদলে গেছে। বিপ্লব মানে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানো।
দেখেছি চিয়াঙ কাইশেকের রাজধানী নানজিঙ এবং প্রমত্ত সেই ঐতিহাসিক ‘রক্ত-নদী’ , যেটা অতিক্রম করেছিল মাও যে দঙ এর মরণজয়ী যোদ্ধারা। মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টুয়ার্টের দেওয়া যুদ্ধবিমানের লাগাতার বোমা বর্ষণের বিপরীতে দশ হাজার নৌকা সব প্রতিরোধ ভেঙে বিপ্লবের জয়যাত্রাকে পৌছে দিয়েছিল রাজধানী নানজিঙ এর রক্তাক্ত পূন্যভূমিতে। তল্পিতল্পা গুটিয়ে ,চিয়াং কাই শেককে বোগলদাবা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন লিঙটন স্টুয়ার্ট ফরমোজা চীনে শিকড় গেড়ে এক বিষ বৃক্ষের পত্তন করেছিলেন। সেই ইতিহাস কেউ ভুলে যায়নি।
কিন্তু অদৃষ্টের কী নির্মম পরিহাস ,- স্টুয়ার্ট স্বেচ্ছায় সমাহিত হয়েছেন মাও যে দঙ এর স্বপ্নে গড়া মহাচীনের মাটিতেই। সেটাই ছিল তার শেষ স্বপ্ন। আমি তার সেই শেষ স্বপ্নটাকেই পবিত্র মনে করেছি। যে কোন পবিত্র স্বপ্নই পূরণ হতে পারে। গৃধ্নুর ঘৃন্য লালসা কখনও কোন তপস্যায় সফল হয়না। আমার প্রতিপাদ্য সেটাই।
রাষ্ট্রদূত স্টুয়ার্টের প্রস্থানের পর প্রায় ২৫ বছর চীন মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্ক তুষার আচ্ছাদিত ছিল। সেই বরফ গলিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নিক্সন “পিঙ পঙ কূটনীতির ” সহায়তায়। স্টুয়ার্ট চীনে অবাঞ্ছিত ছিলেন। বিপ্লব সফল হওয়ার দুমাস আগে খোদ মাও জে দঙ তাকে ব্যার্থ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পাংশু প্রতীক বলে হেনস্থা করেন। কয়েক যুগ অবধি চীন সরকার স্টুয়ার্টের অন্তিম ইচ্ছা পূরণের ব্যাপারে ‘না’বলে এসেছে। অবশেষে ২০০৮ এর নভেম্বর মাসে তার দেহভষ্ম ওয়াশিঙটন থেকে চীনে নিয়ে জন্মস্থান হাংজাউতে পিতামাতা ও ভাইদের পাশে সমাহিত করা হয়। ১৯ নভেম্বর ২০০৮ সাংবাদিক ডেভিড বারবোজার এতদসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রকাশিত হয়।
সটুয়ার্ট চীনের জাতীয়তাবাদী শক্তির পাশে শক্ত অবস্থান নিয়ে ১৯৪৯ সালের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড. ডধনফবষষ ইষধহপশব , ১৭জানুয়ারি ১৯৬১ সদ্য স্বাধীন কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের নবনির্বাচিত প্রধান মন্ত্রী, কালো আফ্রিকার সূর্যোদয়ের কবি খ্যাত প্যাট্রিস লুমুম্বার নির্মম হত্যাকান্ড ও তাঁর বহু সাধনায় গড়া সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সমূলে ধ্বংস করতে কী ভূমিকা রেখেছিলেন সেটা আমার জানা হয়নি। সিআইএর অবমুক্ত গোপন প্রতিবেদনে নিশ্চই সেকথা সবিস্তার প্রকাশ পেয়েছে।
সিআইএর একটি অতিগোপনীয় দলিল ১৯৬৫-৬৬ সালে সংঘটিত ইন্দোনেশিয়ার ব্যাপক গণহত্যাকে , বিংশ শতাব্দির সবচেয়ে বড় গণদলন, যেমন ১৯৩০ সনে সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিবিপ্লদমন, ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসী হলোকাস্ট এবং ১৯৫০ দশকে চীনের প্রতিবিপ্লব দমনে যে বিপুল রক্তপাত ঘটে, তার সমতূল্য বলে চিহ্নিত করেছে। ১৯৬৫ ‘র ৪ জুন নিয়োগ পাওয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শাল গ্রীন কী ভূমিকা রেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট সুকর্ণোর নাসাকম(জাতীয়তাবাদ,ধর্ম ও সাম্যবাদ) এবং কমরেড আইদিতের কর্মীসমর্থক মিলিয়ে ২০/৩০ লক্ষ কম্যুনিস্ট নিধনযজ্ঞে , তাও আমি ঠিক জানিনা। তবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোসেফ এস ফারলান্ড ৬৯-৭২ সনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত কী করেছেন আর কী করেননি সেটা অনুমানে বর্ণনা করেছেন খোদ হেনরি কিসিঞ্জার। “তাঁর হোয়াইট হাউজ ডেয়েজ”গ্রন্থ সে সব জানতে বুঝতে মদদ জুগিয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের কাজটাই যেন ‘একটু কেমন ’। ঠিক যেমন তেমন নয়। তারা একই সময় ডুডুও খান টামুকও খান। রাঁধেন এবং চুলও বাঁধেন। রাশিয়া ও চীন- ভারতের কূটনীতিকরাও খালি “ডুডু খান, মোটেও টামুক খাননা”, তারা খাটি গব্য ঘৃত বা ধোয়া তুলশিপাতা ,তেমনটা কিন্তু নয়। তবে যাই করেন, তারা করেন সবই ভিতরে ভিতরে , চুপি সারে। বাংলাদেশের বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকাট দাপাদাপিটা একটু যেন বেশি করে ফেলেছেন। তবে প্রয়াত রাষ্ট্রদূত স্টুয়ার্টের সাথে তার আকাঙ্খার সাযুজ্য দেখতে পাই্। জাতীয়তাবাদী চিয়াঙ কাইশেকের পরম মিত্র রাষ্ট্রদূত স্টুয়ার্ট সাড়ে তিনহাত মাটিতে ঠাঁই পেয়েছেন মাও -জে- দঙ এর স্বপ্নে গড়া মহাচীনে।
“আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙ্কচিল শালিকের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়।” মার্শার মনে জীবনান্দের কবিতার ছোঁয়া লেগেছে বলে প্রত্যয় হয়।
বাংলাদেশে এসে সবাই কবি হয়ে যায়। বাংলার পলিমাটি সবাইকে কাছে টানে। পন্ডিত মূর্খ সবাই ভুলে যায় ১৬ ডিসেম্বর থেমে যাওয়া যুদ্ধটা আবার ১৫ আগস্ট ৭৫ চালু হয়ে থিতিয়ে পড়েছিল। আবার সেটা তেজীয়ান হয়েছে ২১ আগস্ট ২০০৪ সনে গ্রেনেড হামলায়। ৫ জানুয়ারি ২০১৪, জাতীয় নির্বাচনও সেই যুদ্ধের আগুনেই ঝলসে গেছে।
কোরিয়ার যুদ্ধ যেমন শেষ হয়নি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগুনও তেমনি তুষের আগুনের মত ধিকি ধিকি জ্বলছে। সিউলে ৩৮ হাজার মার্কিণ সৈন্য পিয়ং ইয়ং এর দিকে মিসাইল তাক করে রেখে যুদ্ধের আমেজকে টিকিয়ে রেখেছে;বাংলাদেশেও কেউ তেমনি বারবার মুক্তিযুদ্ধের ছাইচাপা আগুনকে উষ্কে দিচ্ছে ছলে বলে কৌশলে। দুটো যুদ্ধই ভূরাজনীতির তাগিদে এবং বৈশ্বিক স্বার্থে টিকে আছে। থমকে থাকা কোরীয় যুদ্ধের অন্তরে ঘুমিয়ে আছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পারমানবিক ভ্রূণ। এদিকে আর একটি ৭১ হয়ত এবার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ ডেকে এনে চলমান সমৃদ্ধির গতিকে থামিয়ে দেবে। সেই গৃহযুদ্ধ ( ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিবার পরিজনসহসহ আত্মাহুতি দিয়েছেন। মুজিব নন্দিনী শেখ হাসিনা শত উস্কানির মুখে অসীম ধৈর্যে সেই মহাবিপর্যয়কে আটকে রেখেছেন।আমি তাঁর স্তব করছিনা।তাঁর দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞার তারিফ করছি মাত্র।
বাংলাদেশে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেছেন বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকাট । তাঁকেও নিশ্চই মুজিবের স্বপ্নে জেগে ওঠা সুখ-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সু স্বাগতঃ জানাবে। সটুয়ার্টের মত তার স্বপ্নটাও হয়ত সফল হবে যদি সেটা পবিত্র হয়।
আমি আশা করবো আগামী দিনের বাংলাদেশে তিনি “অহিংস, অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য” নির্বাচনের জন্য সলিমুদ্দীন কৃষক, কলিমুদ্দিন মাঝি . দলিলউদ্দীন চাষা , অচিন্ত মজুর, তৃপ্ত কামিন এবং বিজ্ঞ- সুশীল ড.কামাল,ড.আসিফ ও ডা.চৌধুরিদের অনুকূলে বৈষম্যহীন “লেভেল প্লেয়িঙ ফিল্ড ” দেখতে পাবেন , অবশ্যই সেটা ভাস্বর হবে একটা ভিন্ন স্বাদের জনগণতন্ত্রের আচ্ছাদনে। সে বাংলার আসমান হবে মেঘমুক্ত নীল ,জমিন বৃষ্টিভেজা সবুজ , সূর্যের রঙ ঠিক তেমনই থাকবে যেমনটি রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রাঙানো পতাকায়। সেই পতাকার একজন গর্বিত অংশীদার হিসাবে আমারও পবিত্র স্বপ্ন এটাই। কারও পবিত্র স্বপ্ন কখনও বৃথা যায়না।
২৩ সেপ্টেম্বার ২০১৮
ক্যালিফর্নিয়া।