নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : ইউএস রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর মিনেসোটা পঞ্চম কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের কংগ্রেসওমেন ইলহান ওমর সম্প্রতি নিউইয়র্র্ক সফর করেছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি মতবিনিময় ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে। কমিউনিটি লিডার, মূলধারার রাজনীতিক, জেবিবিএর সভাপতি ও ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের চেয়ারম্যান ও সিইও গিয়াস আহমেদের লং আইল্যান্ডের বাসায় এই বৈঠক ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতারা যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, রাডগার্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন স্টুডেন্ট উপস্থিত ছিলেন, যারা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেন। বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও ছিলেন।

সূত্র জানায়, ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে গিয়াস আহমেদের বাসায় আসেন ইলহান ওমর এবং তিনি রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার, ডা. মাকসুদুর রহমান, সাউথ এশিয়ান আমেরিকান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (স্যাফেস্ট) প্রধান নির্বাহী মাজেদা এ উদ্দিন, নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, মুসলিম উম্মাহর নেতা ডা. আতাউল গনি ওসমানী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মিল্টন ভূইয়াসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় ছাড়াও অনুষ্ঠানে ইলহান ওমরের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গিয়াস আহমেদ। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইলহান ওমর। তিনি এ লক্ষ্যে কাজ করছেন। আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশি আমেরিকানদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। গিয়াস আরো বলেন, ইলহান ওমরের কাছে কমিউনিটির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তিনি কমিউনিটিকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। তিনি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশি কমিউনিটি সম্পর্কে তার আরো ধারণা হয়েছে। আমাদের কমিউনিটির গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। আমরা তার জন্য ১০ হাজার ডলার ফান্ড রেইজ করেছি।

ইলহান ওমর বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অন্যায়কে অনুুসরণ করছেন। আমি ট্রাম্প শাসনামলে এমন পদক্ষেপের বিষয়ে সোচ্চার ছিলাম, এখনো সোচ্চার আছি। প্রতিবাদ জানিয়েছি ও নিন্দা জানাচ্ছি।
বৈঠক শেষে ইলহান ওমর বাংলাদেশি বিভিন্ন খাবার খান। বাংলাদেশি খাবার তিনি খুবই পছন্দ করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের স্পাইসি সব খাবার।