মেইন স্ট্রিমে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবস্থান জানাতে বিশেষ উদ্যোগ

ফাইল ছবি

ঠিকানা রিপোর্ট : দিন যত যাচ্ছে ধীরে ধীরে মেইন স্ট্রিমে বাংলাদেশিদের অবস্থান বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাক্সিক্ষত পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশিদের মেইন স্ট্রিমে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পাওয়ার জন্য আরো সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি ভোটদানে উৎসাহিত হতে হবে। ভোট দেওয়ার মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করতে পারলে তখন বাংলাদেশিদের কথা সেখানে বেশি উচ্চারিত হবে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কমিউনিটির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডেমোক্র্যাটিক ক্লাবের মোরশেদ আলম, ইয়ুথ ফোরামের আহনাফ আলম, ওমেন্স ফোরামের রুবাইয়া রহমানের পক্ষ থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারি আয়োজন করা হচ্ছে ১১তম অ্যানুয়েল ডিনারের। সেই সঙ্গে থাকবে মিট অ্যান্ড গ্রিট। সেদিন সন্ধ্যায় গুলশান ট্যারেসের ব্যাঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের গভর্নর, নিউইয়র্ক সিটির মেয়র, বেশ কয়েকজন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান উপস্থিত থাকবেন। মেইন স্ট্রিমের প্রায় দুই ডজন লিডার এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য কনফার্ম করেছেন।
উদ্যোক্তাদের একজন ও কমিউনিটি লিডার আহনাফ আলম বলেন, আমরা প্রতিবছর অ্যানুয়াল ডিনারের আয়োজন করি। করোনার পর এবার আমরা চেষ্টা করছি বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করার। এখানে তিন শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি যোগ দেবেন। ইনফ্লাশনের কারণে এবারের অতিথি সংখ্যা কিছুটা কম। মেইন স্ট্রিম থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস উপস্থিত থাকবেন। গ্রেগরি মিক্স, গ্রেস মেংসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনজন কংগ্রেসম্যান আসবেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গভর্নর, সিনেট মেজরিটি লিডার চাক শ্যুমার, হাকিম জেফরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে। এখন আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। সাধারণত দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আগে কনফার্ম করেন না। তারা অনুষ্ঠানের দু-এক দিন আগে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানান। এ জন্য আমরা গভর্নর, চাক শ্যুমার, হাকিম জেফরির বিষয়টি জানতে পারব আরো পরে। ইতিমধ্যে দুই ডজন নির্বাচিত প্রতিনিধি অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহনাফ আরো বলেন, এই অনুষ্ঠান করার উদ্দেশ্য হচ্ছে মেইন স্ট্রিমে আমাদের কমিউনিটির গুরুত্ব তুলে ধরা। দিন দিন আমাদের অবস্থান যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সেটি উপস্থাপন করা। সেই সঙ্গে আমাদের কিছু কথা তাদেরকে জানানো। তাদের কথাও আমাদের শোনা। পাশাপাশি আমাদের কমিউনিটিকে আরো বেশি বেশি ভোট দিতে উৎসাহিত হওয়া দরকার, তা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে ভোট দেওয়া যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটি নেতাদের পক্ষ থেকে বলা। মনে রাখতে হবে, আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেতে হলে অবশ্যই ভোট দিতে হবে। আমাদের কমিউনিটির মধ্য থেকে নেতা তৈরি করতে হবে।
আহনাফ আলম বলেন, এবারের অনুষ্ঠানে আমরা ছয়-সাতজন বিশেষ সফল ব্যক্তিত্বকে পুরস্কার দিচ্ছি। এই পুরস্কারের মধ্যে থাকছে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। পুরস্কার তুলে দেবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে মার্টিন লুথার কিংয়ের ওপর একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হবে, যাতে মানুষ তার সম্পর্কে আরো বেশি জানতে পারে এবং বিভিন্ন কাজে উৎসাহিত হতে পারে। আশা করছি, অনুষ্ঠানটি আমরা সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারব।