শিতাংশু গুহ :
মেট্রোরেলের যুগে বাংলাদেশ। শুরু হলো পথচলা। আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন। এক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম ট্রেনে যাত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের প্রমুখ। ট্রেনের চালক ছিলেন মরিয়ম আফিজা। তিনি একদা নিউইয়র্কে ট্রেন-কন্ডাক্টর ছিলেন। প্রবাসী নিউইয়র্কবাসী এতে খুশি। ২০২৬-এ বাংলাদেশের ‘উন্নয়নশীল’ দেশে পদার্পণ করার কথা। লক্ষ্য অর্জনে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল উন্নয়নের দুটি শক্ত মাইলফলক। শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়নে বিপ্লব ঘটাচ্ছে, তা বলাবাহুল্য।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুনরায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এবার তিনি কট্টর দক্ষিণপন্থী একটি দলের সঙ্গে কোয়ালিশন করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি ইসরাইলের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ ইসরাইলে ঘন ঘন সরকার বদল হলেও বিশ্ব পরিমণ্ডলে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই হয়তো ইউক্রেন-সংশ্লিষ্ট নেতারা তড়িৎ শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। দেখা যাক, ঝানু রাজনীতিক নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে কিছু করতে পারেন কি না?
ষোড়শ পোপ বেনেডিক্ট (৯৫) মারা গেছেন। বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস শোকবাণী দিয়েছেন এবং তিনি নিজে তার শেষকৃত্য করবেন। গত ৬০০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি, কারণ কোনো ‘সাবেক’ পোপ ছিলেন না, সবাই আমৃত্যু পোপ ছিলেন। যদিও এর আগে সপ্তম পোপ গ্রেগরি ১৪১৫ সালে পদত্যাগ করেছিলেন। এতকাল পর ২০১৩ সালে পোপ বেনেডিক্ট স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেন। বছরের শেষপাদে মারা গেলেন ফুটবলের জাদুকর, ‘কালো মানিক’ কিংবদন্তি ব্রাজিলের ‘পেলে’ (৮২)। এর আগে ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা গেলেন অপর বিশ্বখ্যাত আর্জেন্টিনার ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। রাজনৈতিক দিগন্তে ২০২২ সালের শেষলগ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন মোদি (৯৯) চলে গেলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। মার্কিন মিডিয়া জগতে বারবারা ওয়াল্টার্স দেহ রেখেছেন।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবাই জানত লাঙ্গল জিতবে, নৌকা দ্বিতীয় হবে। লাঙ্গল বিপুল ভোটে জিতেছে ঠিকই, কিন্তু নৌকা চতুর্থ, জামানত বাজেয়াপ্ত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মিলে যা ভোট পেয়েছেন, ‘হাতপাখার’ হুজুর এর চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন। সুযোগ পেয়ে বিএনপি বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হলে পুরো দেশে আওয়ামী লীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জাতীয় নির্বাচনের এক বছর বাকি। রংপুর একটি ধাক্কা, তাই আওয়ামী লীগকে বাস্তবতা মেনে নতুন করে হিসাব-নিকাশ করতে হবে।
বিএনপি রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছে। এ নিয়ে বেশ কথাবার্তা শুনছি। ভাবছি, রাষ্ট্রকাঠামো তো একাত্তরে নির্ধারণ হয়ে গেছে, নতুন রূপরেখা আবার কী জিনিস? এটি কি ‘ফেস লিফ্টিং’ নাকি ‘কসমেটিক সার্জারি’, যাতে আসল চেহারা লুকিয়ে ফেলা সহজ! বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নতুনত্ব কিছু নেই, অনেকটা প্র্যাকটিস গেম? বিএনপির জনসমর্থন হয়তো আছে, কিন্তু নেতা নেই বা নেতৃত্বের ব্যাপক কোন্দল দলটিকে খুব বেশি দূর এগোতে দেবে না, ক্ষমতা তো বহুত দূর! সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।