মেডেলিয়ন বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন মালিকরা

ঠিকানা রিপোর্ট : মেডেলিয়ন মালিকদের অনেকেই এত দিন ঋণের ভারে চোখে সরষে ফুল দেখছিলেন। এত বড় ঋণের বোঝা বহন করা তাদের অনেকের জন্যই ছিল কষ্টসাধ্য। পাশাপাশি লোনের অর্থ শোধ করতে না পারলে তার বেতন, সম্পত্তিসহ সবকিছু থেকে তা পরিশোধ করার সুযোগ ছিল। এতে করে একজন মেডেলিয়ন মালিককে কঠিন সময়ের মধ্যে পড়তে হতো। সেই অবস্থান থেকে পরিত্রাণ দিতে সিটি মেয়র ও সংশ্লিষ্টরা উদ্যোগ নেন। এ কারণে মেডেলিয়নের লোন মওকুফের সুযোগ তৈরি হয়। এতে করে এখন একেকজন মেডেলিয়ন মালিককে একটির জন্য লোন মওকুফ করা হচ্ছে। হাতে থাকছে কেবল ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার ঋণ। এই ঋণ মওকুফ হবে না, তবে এই লোন মার্বেল গেটসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট যেসব কোম্পানি লোন মওকুফ করছে, তারাই আবার লোন দিয়ে পরিশোধ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। ২৫ বছরের মধ্যে তা শোধ করতে হবে মাসে ১ হাজার ২৩৪ ডলার করে। তবে প্রথম কিস্তি মেডেলিয়ন মালিককে দিতে হবে। এরপর কোম্পানিগুলো লোন হিসেবে অর্থ দেবে। সিটি এর গ্যারান্টার। যারা নিজেরা অবশিষ্ট লোন পরিশোধ করতে পারবেন না বা কিস্তি দিতে পারবেন না, তারা লোনদাতা কোম্পানি মেডেলিয়নের মালিকের বেতন থেকে কোনো অর্থ নিতে পারবেন না। বাড়ি-গাড়ি-সম্পত্তি থেকে অর্থ আদায় করতে পারবেন না। কেবল ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে ঋণদাতা কোম্পানি মেডেলিয়নটি নিয়ে নেবে এবং সেটি বাজারে বিক্রি করে দেবে। ওটি বিক্রি করে অর্থ আদায় করবে। এই উদ্যোগ সব দিক থেকে লোনদাতা ও মেডেলিয়ন মালিকদের জন্য আগের অবস্থা থেকে অনেকটাই ভালো সমাধান। এই বিবেচনা করেই অনেক মেডেলিয়ন মালিক এখন আর সেটি বিক্রি করছেন না। কিছুদিন আগে দুজন মালিক সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর মেডেলিয়ন রাখবেন না, সেটি বিক্রি করে দেবেন। বিক্রি করে দিয়ে অন্তত হতাশা থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন। গত মাসে মার্বেল গেটসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান লোন ফরগিভনেস শুরু করে। অন্যান্য কোম্পানিরও সহসাই তা শুরু করার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় তারা মেডেলিয়ন বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, মার্বেল গেটের কাছে প্রায় তিন হাজার মেডেলিয়নের লোন রয়েছে। তা থাকলেও এখন পর্যন্ত সবাই লোন ফরগিভনেসের জন্য আবেদন করেননি। নির্ধারিত সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২২৫ মিলিয়ন ডলার লোন মাফ নিয়েছেন এক হাজারের বেশি মেডেলিয়ন মালিক। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বড় একটি অংশ লোন ফরগিভনেসের জন্য আবেদন করেননি। তারা যাতে এখনো লোন ফরগিভনেস নিতে পারেন, সে জন্য এক সপ্তাহ অর্থাৎ ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছিল। এর মধ্যেও সবাই আবেদন করেননি। এ কারণে এই সময় এখন ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এখনো যারা আবেদন করেননি, তাদের আবেদন করতে হবে।
নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের লেবার অর্গানাইজার টিপু সুলতান বলেন, অনেকেই সময় শেষ হওয়ার মধ্যে (৭ অক্টোবর) আবেদন করেননি। ফলে তারা লোন ফরগিভনেস নিতে পারেননি। এখন ১৪ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আমাদের কাছে কিছু কিছু কেস আসছে, যাদের নিজেদের মধ্যে মেডেলিয়ন মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে তারা আবেদন করছেন না। কিন্তু তারা বুঝতে চাইছেন না তাদের মধ্যে যত দ্বন্দ্বই থাক না কেন, এগুলো তারা একসময় না একসময় মেটাতে পারবেন। আগে যাদের মালিকানা ছিল, তারাই মালিক থাকবেন এবং সম্মিলিতভাবে যে কজন মালিক আছেন, তাদেরকে আবেদন করতে হবে। আমরা মেডেলিয়ন মালিকদের বলছি, যত সমস্যাই থাক না কেন, আপনারা আগে লোন ফরগিভনেসের সুযোগ দিন। মেডেলিয়নটি ঋণমুক্ত করুন এবং আপনারাও ঋণমুক্ত হোন। তারপর যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই লোন ফরগিভনেস শুরু হয় আর শেষ হয় প্রথম দফা ৩০ সেপ্টেম্বর। এরপর সাত দিন বাড়ানোর পর সময় শেষ হয় ৭ অক্টোবর। নতুন করে সময় বাড়ায় এখন ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। সূত্র জানায়, মার্বেল গেটের লোন ফরগিভনেস শুরু হলেও এখন পর্যন্ত অন্যান্য লেন্ডারের লোন ফরগিভনেস প্রোগ্রাম শুরু হয়নি। মার্বেল গেট প্রতি গাড়িতে ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার লোন মওকুফ করলেও অন্যান্য লেন্ডার দেবে ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।