মেয়েদের পর এবার ছেলেদের ফুটবলেও সুখবর

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : নারী ফুটবলারদের সাফ সাফল্যের আলোয় একপ্রকার ঢাকাই পড়ে গিয়েছিল ছেলেদের জাতীয় ফুটবল দল। ২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জামাল ভূঁইয়াদের ম্যাচ নিয়ে আলোচনাও ছিল না খুব একটা। তবে মেয়েদের পর এবার ছেলেরাও সুখবর দিল ফুটবলে। স্বাগতিকদের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে লাল-সবুজরা।

কম্বোডিয়ার মরোডোক টেকো ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ফিফার প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলের জয়সূচক গোলটি এসেছে উইঙ্গার রাকিব হোসেনের পা থেকে। এই জয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে থাকা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে নিজেদের অজেয় থাকার রেকর্ডটা আরেক ম্যাচ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিল লাল-সবুজের দল।

এই জয়ে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। গত বছরের ১৩ নভেম্বর সর্বশেষ মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছিলেন জামালরা। স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার অধীনেও এটি বাংলাদেশের প্রথম জয়। জানুয়ারিতে দায়িত্ব পাওয়া কাবরেরার অধীনে আগের ছয় ম্যাচে দুই ড্র পেয়েছিল ম্যাচে। ১১ মাস চুক্তির শেষ ভাগে এসে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে প্রথম জয় পেলেন বার্সেলোনা একাডেমির সাবেক এই কোচ।

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে আগের চার দেখার তিনটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলেও আসিয়ান দেশটির বিপক্ষে জয়টাই ছিল প্রত্যাশার। জয়-খরা কাটিয়ে উঠতে চেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই জ্বলে উঠলেন ফুটবলাররা।

খেলার ২৩ মিনিটে বাংলাদেশকে উৎসবে ভাসান রাকিব। মতিন মিয়ার দারুণ এক পাস থেকে রাকিব হোসেন বক্সে ঢুকে দেখেশুনে ডান পায়ের জোরালো শটে কম্বোডিয়ার গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। তাতে লিড পায় বাংলাদেশ। তবে সেই ব্যবধান আর বাড়াতে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা।

ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ সাবধানী ফুটবল খেলতে থাকে। ৪-১-৪-১ ছকে নিজেদের রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে। তাতে ১৪ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জামাল ভূঁইয়ার প্লেসিং লক্ষ্যে থাকেনি। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে গেছে।

বিপরীতে স্বাগতিক কম্বোডিয়া রানিং ও স্কিলে কিছুটা এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ১৯ মিনিটে সুযোগ পায় যদিও। কিন্তু বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সিন কাকাডার ডান পায়ের বুলেট গতির শট গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এক হাত দিয়ে কোনোমতে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেছেন।

বিরতির পরও খারাপ খেলেনি বাংলাদেশ। একাদশে এনেছে কয়েকটি পরিবর্তন। রিমন হোসেন-সাজ্জাদ হোসেনরা মাঠে নেমেছেন। অভিষেক হয় মিডফিল্ডার সোহেল রানারও। এই অর্ধেও রক্ষণ জমাট রেখে খেলেছে বাংলাদেশ। সুযোগ বুঝে আক্রমণেও গেছে। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মতিন মিয়ার ডান পায়ের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে ব্যবধান আর বাড়েনি।

কম্বোডিয়া কয়েকবার জিকোর পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। রাকিবের গোলটিই পরে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।

অথচ নমপেনের মরোদোক টেকো জাতীয় স্টেডিয়ামে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরাই। ১৭৪তম স্থানে আছে কম্বোডিয়া। বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২তম। এই ম্যাচে জিতে র‌্যাঙ্কিং বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিলেন কোচ কাবরেরা। অবশেষে সেটি সম্ভব হতে চলেছে।

ঠিকানা/এনআই