নিজস্ব প্রতিনিধি : একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার তিনি চমক দেখালেন দেশের প্রধান ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। দেশের সংবাদমাধ্যমসহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আগাম ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে তিনি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নিয়েছেন পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে। ছাত্রনেতা, বিচারক, দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান থেকে চুপ্পু আজ দেশের প্রধান ব্যক্তি। শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন চুপ্পু।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মতোই চমক দেখিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি পদে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো অপশক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সুশিক্ষিত, সৎ, যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছি; যার ক্যারিয়ার, গোটা জীবনই বর্ণাঢ্য।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বিষয়ে আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমি ও জাতীয় পার্টি আনন্দিত। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ মানুষ। তার বিষয়ে যেসব রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলছে, তারা হয়তো সংবিধান দেখেনি। অবশ্যই সংবিধানে রয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব ধরনের রাইট রয়েছে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই চমকেও মন ভরেনি বিরোধী শিবিরে। সরকারবিরোধীদের এ নিয়ে যেন কোনো আগ্রহই নেই। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা কোনো মন্তব্য করতেও চাচ্ছেন না। এলডিপি বলছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয়করণ পরিপূর্ণ হয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ভাষ্য- ক্ষমতাসীন দলে গণতন্ত্র একেবারে অনুপস্থিত হয়ে গেছে। বাম গণতান্ত্রিক জোট মনে করছে, আওয়ামী লীগ সবকিছু অস্পষ্ট রেখে একটি সিদ্ধান্ত নিল, যেখানে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিষয়ে আগে জানার অধিকার ছিল। নাগরিক ঐক্যের দাবি, রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের মধ্য দিয়ে সরকার দেশ থেকে নির্বাচন-ব্যবস্থা উঠিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো রাষ্ট্রপতির নাম ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে আমি এখনো রাজনৈতিকভাবে মন্তব্য করতে পারব না। আমরা এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই আগ্রহী নই। আমার দল আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে খুব দ্রুতই মন্তব্য দেবে। আপাতত এ বিষয়ে এখন আর বেশি কিছু বলার আগ্রহ নেই।’
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাত্রনেতা থেকে উঠে আসা পাকাপোক্ত এক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতির জন্য নির্বাচন করেছে। এতে জনগণের কিছু আসে-যায় না। আওয়ামী লীগের সবকিছুই পূরণ হয়েছে। আমরা এত ইন্টারেস্টেড নই। এতে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। আওয়ামী লীগ সবক্ষেত্রে দলীয়করণ পরিপূর্ণ করেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি একেবারে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না- সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি আবার প্রমাণিত হয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অদ্ভুত বিষয়, দেশের রাষ্ট্রপতির নাম ঘোষণা হয়ে গেল, অথচ দেশের কোনো জনগণ কিংবা কোনো বিরোধী রাজনৈতিক দল বিষয়টি জানতে পারেনি। এটি খুবই দুঃখজনক। এক ব্যক্তির ক্ষমতা ও ইচ্ছাকে পাকাপোক্ত করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়টি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়ে গেছে, দেশে কোনো ধরনের নির্বাচনব্যবস্থা এ সরকার আর রাখে না।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি মনে করি, এটি দেউলিয়া সিদ্ধান্ত। কারণ, তারা রাষ্ট্রপতি পদে অভিজ্ঞ ও রাজনীতিতে পোড় খাওয়া কাউকে মনোনীত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে বিশেষত্ব হারিয়েছে এবার। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলটির মন্ত্রী-এমপিদেরও মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই। সবাই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কাছে অসহায়। শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তেই যদি রাষ্ট্রপতি মনোনীত হয়ে যায়, তাহলে ক্ষমতাসীন দলে গণতন্ত্রের সুযোগ কোথায়? এ কারণে বলা চলে, আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র একেবারে অনুপস্থিত।’
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই জানি রাষ্ট্রপতি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সেখানে দেশের জনগণের অবশ্যই জানার অধিকার রয়েছে, কে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন। কিন্তু সে বিষয়টি একেবারে অনুপস্থিত ছিল। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করা দরকার ছিল। সবকিছু অস্পষ্ট রেখে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, যেখানে আওয়ামী লীগের মধ্যে পরিষ্কারভাবে দেখা গেছে গণতন্ত্র ছিল না।’
একনজরে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এ নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে একমাত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে এদিনই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
দুদকের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেন। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তার নির্বাচিত হওয়া ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার।
সিইসি বলেন, দুটি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল একই প্রার্থীর নামে। এর মধ্যে একটি পরিপূর্ণভাবে বৈধ হওয়ায় অন্যটি আর গ্রহণের দরকার পড়েনি।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর প্রস্তাবক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সমর্থক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে রাধানগর মজুমদার অ্যাকাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। এরপর শুরু করেন রাজনীতি। এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। পরে সামলেছেন পাবনা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি, মুক্তিযুদ্ধেও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার দল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে সে সময় ক্ষমতা দখলকারীরা। সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকেও তখন কারাবরণ করতে হয়।
পেশায় আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা হয়, যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে ‘কমিশন’ গঠন করে, যার প্রধান ছিলেন মো সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এই মহাসচিব বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত করা সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু জেএমসি বিল্ডার্স লিমিটেডের প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। এ ব্যাংকের অডিট কমিটিরও সদস্য তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এক ছেলের বাবা। তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা যুগ্ম সচিব ছিলেন। তিনি বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যাডভাইজরের পাশাপাশি ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন, তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির সভায় রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের ভার দেওয়া হয় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ওপর। শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে, যিনি কৈশোরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদে পরোক্ষ ভোটে। সংসদ সদস্যরাই এই নির্বাচনে ভোট দেন। তবে মো. সাহাবুদ্দিন একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন আর পড়ল না। সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একবারই সংসদের কক্ষে ভোট করতে হয়েছিল। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন। স্বাধীনতার পর থেকে ২১ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ প্রান্তে রয়েছেন। সেই হিসেবে নতুন রাষ্ট্রপতি হবেন এই পদে অষ্টদশ ব্যক্তি।