মৌলভীবাজারের ৮ ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব

দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মৌলভীবাজার : জেলার বড়লেখার পানিধার গ্রামের জমিদারবাড়ির প্রায় শতকোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি ও দখলের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় অধিবাসী লাল মিয়াসহ আট ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব ধরনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লেনদেন-সংক্রান্ত তথ্য প্রাথমিক পর্যালোচনা শেষে তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য বিএফআইইউ দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিয়ানীবাজার-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বড়লেখা উপজেলার পানিধার গ্রামে প্রায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে রামকুমার পুরকায়স্থের জমিদারবাড়ির অবস্থান। উপজেলার কাঁঠালতলী মৌজার ১০৩ নম্বর খতিয়ানের ৮৮২ ও ৮৮৩ নম্বর দাগে জমিদারবাড়ির ৫৪ শতক দেবোত্তর সম্পত্তি উইল করে যান রামকুমার পুরকায়স্থ। অভিযোগ আছে, এই ভূমির একাংশে লাল মিয়া ও তাদের সহযোগীরা কৌশলে টিনের ঘর নির্মাণ করেন। এ নিয়ে জমিদারবাড়ির উত্তরাধিকার মৃত রমাকান্ত রায়ের ছেলে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক রণজিৎ কুমার রায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বড়লেখা থানাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। দেড়শ বছরের পুরনো জমিদারবাড়ি দখলের অভিযোগের ঘটনায় গত ১৭ মে ভূমিখেকোর দখলে যাচ্ছে বড়লেখার জমিদারবাড়ি শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদককে লাল মিয়া বলেছিলেন, জমিদারবাড়ির দেবোত্তর সম্পত্তির মধ্যে ২০১৭ সালের জুনে রাধাকান্ত রায় পুরকায়স্থ ১৮ শতক জমি পানিধার গ্রামের আছার উদ্দিনকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। এই আমমোক্তারনামার ক্ষমতাবলে আছার উদ্দিন ৯ দশমিক ৪৬ শতক জমি লাল মিয়ার শ্যালক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শামীম আহমদ, জালাল আহমদ ও জসীম উদ্দিনের কাছে ২০ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর লাল মিয়া টিনের ঘর নির্মাণ করেন।
প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছিল, তাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করা হয়েছে। তথ্য চাওয়ার তালিকায় রয়েছেনÑ বড়লেখার মুছেগুল গ্রামের মৃত মখলিছ আলীর ছেলে লাল মিয়া, জামিল মোহাম্মদের ছেলে আছার উদ্দিন, দেবোত্তর সম্পত্তির আমমোক্তারনামা দেওয়া রাধাকান্ত রায়, তার ছেলে রাজীব পুরকায়স্থ, দলিল লেখক মো. আবদুল হাসিব এবং লাল মিয়ার শ্যালক শামীম আহমদ, জসীম উদ্দিন ও জালাল আহমদ।