যমুনার চরাঞ্চলে বাড়ছে তামাক চাষ

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে তামাক চাষ। দেশি-বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী করছে চাষিদের। চাষে অগ্রিম টাকা দেওয়ায় কৃষকরাও তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর এদের মধ্যে তামাক চাষে বেশি ঝুঁকছে শিশু ও নারীরা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে গাবসারা ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর, পুংলিপাড়া জুঙ্গিপুর রুলীপাড়া, রায়েরপাড়া, বাসালিয়া, গোবিন্দপুর, রামপুর, অর্জূনা ইউনিয়নের রামাইল, শুশুয়া, কাশিয়াটা, নিকরাইল ইউনিয়নের পাথাইল কান্দি, পলশিয়া, পৌর এলাকার বামনহাটাসহ চরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শত শত একর জমিতে বিষাক্ত এই তামাক চাষ হচ্ছে।

দেশি-বিদেশি তামাকজাত দ্রব্য কোম্পানি বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে প্রজেক্ট তৈরি করছে। গাবসারা ইউনিয়নের রায়ের বাসালিয়ার তামাক শ্রমিক নাজমা বেগম জানান, অন্যের জমিতে কাজ করে তিনি দিন শেষে মজুরি হিসেবে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পান। স্বামীর সংসারে সহযোগিতা করতে তিনি তামাক চাষের কাজ করছেন। নারী-পুরুষদের পাশাপাশি শিশুরাও তামাক চাষে জড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও তামাক শ্রমিকের কাজ করছে। তামাক পাতা শুকানো কাজে ব্যস্ত শিশু আশিক বলেন, আমি এবং আমার বন্ধুরা তামাক গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ ও পাতা শুকানোর কাজ করি। আর এই কাজ করে আমরা প্রতিদিন ৫০ টাকা পাই। তামাক চাষিরা জানান, ভুট্টা চাষের তুলনায় তামাক চাষে লাভ বেশি। সিগারেট কোম্পানিগুলোর খরচে ও সহযোগিতায় জেগে ওঠা চরে তামাক চাষ করেছি। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানি। তার পরও লাভ বেশি ও চাষের আগেই টাকা পাওয়ায় তাই আমরা তামাক চাষ করছি। ভ‚ঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, তামাক চাষ না করার জন্য চরাঞ্চলে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।