যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়লেও সামরিক মিত্র হয়নি ভারত

ঠিকানা ডেস্ক : গত আগস্টে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর দেশ দু’টির সামরিক অংশীদারিত্ব অনেক বেড়েছে। কম্যুনিকেশন ক্যাপাবিলিটি এন্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট হওয়ায় এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সামরিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিত্রে পরিণত হয়েছে।
স্বাক্ষরিত চুক্তির কারণে তারা এখন সামরিক তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে এবং ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সময় দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের যে উন্নতি শুরু হয় ৬ সেপ্টেম্বরের চুক্তি তারই ধারাবাহিকতা।
ভারতের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যুক্তরাষ্ট্র তার অনেক পুরনো মিত্রকে ছেড়ে দিচ্ছে। ভারতের সাথে বন্ধন সুদৃঢ় করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কম্যুনিকেশন ক্যাপাবিলিটি এন্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট চুক্তির প্রস্তুতির জন্য দীর্ঘ সময় নিয়েছে ভারত। চুক্তির জন্য শর্তাবলীতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে ভারত। এরফলে শুধু ভারতের নৌ-শক্তি বাড়বে তা নয় এটি ভারতকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের নৌ-শক্তিগুলোর সাথে কাজ করতে সহায়তা করবে। এরফলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল সামরিক তথ্য পাবে ভারত। চীনের বিরুদ্ধে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের কাছে সহযোগিতাও পাবে ভারত। তবে ভারতের কাছে রুশ ‘ডিফেন্স সিস্টেমও’ আছে যার তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শেয়ার করবে না ভারত। চীনকে কৌশলগত প্রতিযোগী হিসেবে চিহ্নিত করার পর ভারতের সাথে সামরিক সম্পর্ক বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন ভারতের জন্যও একটি হুমকি। তবে এখনই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিত্র হতে চাচ্ছে না ভারত। ইন্দো প্যাসিফিক কমান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদারিত্ব করছে ভারত। তবে সৌদি উপদ্বীপ ও আরব সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদারিত্ব করছে না ভারত। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের সাথে বৈঠকে বসবে ভারতের নৌ বাহিনী। আগামী বছর ভারতের পূর্ব উপকূলে বড় ধরনের সামরিক মহড়া দেবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। অদ্যাবধি মার্কিন নীতি হচ্ছে ভারতকে দিয়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের সাথে সামরিক শক্তির ভারসাম্য তৈরি করা।