ঠিকানা রিপোর্ট : মাত্র ১৮ বছর বয়সে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আরকানসাসের আর্লে-এর জাইলেন স্মিথ। একজন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ। কলেজে জুনিয়র ইয়ারে পড়ছেন মাত্র। এখন মার্কিন ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ কালো মেয়র।
আর্লে হাইস্কুল থেকে সাম্প্রতিক স্নাতক করেছেন জাইলেন স্মিথ। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের রানঅফ (দ্বিতীয় দফা) নির্বাচনে জয় পাওয়ার বিষয়ে তিনি খুবই ‘আত্মবিশ্বাসী’ ছিলেন। তবুও বিজয়ের খবর পেয়ে তিনি হতবাক হয়েছেন। তিনি টেনেসির মেমফিসের কাছাকাছি আর্লে শহরের মেয়র হবেন। ২০২০ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, এই শহরের লোকসংখ্যা ২ হাজারেরও কম।
স্মিথ বলেন, ‘আমি খুবই কৃতজ্ঞ বোধ করছি। আমি যখন বিজয়ের খবর শুনেছি, তখন আমার মুখাবয়বের প্রতিক্রিয়া ছিল সবচেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ। এটি একটি আশীর্বাদ।’ তিনি আরও জানান, তার বাবা-মা তাকে নিয়ে গর্বিত এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিটি পদক্ষেপে’ তার প্রচারাভিযানকে তারা সমর্থন করেছেন।
নির্বাচনে স্মিথ ২১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার প্রতিপক্ষ নেমি ম্যাথিউস সিনিয়র পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। স্মিথ জানান, তিনি তার সহপাঠী ছাত্রদের বিশেষ করে গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের উৎসাহে তার সিনিয়র বছরের শুরুতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার জয়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্যের বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত। তিনি বলেন, ‘বিজয়ের ফলে দারুণ আনন্দ লাগছে। আমার ঐতিহাসিক এই মুহূর্ত সম্পর্কে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মানুষ জানবে।’
জাইলেন স্মিথ বলেন, ইতিহাসের বইয়ে জায়গা পাওয়া সত্যি ‘অসাধারণ অনুভূতি’।
নির্বাচিত মেয়র হিসেবে স্মিথ জানান, তিনি পরিবহন, জননিরাপত্তা এবং শহরে একটি বড় মুদি দোকান আনার দিকে মনোনিবেশ করার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিশেষত খাবারের উৎসগুলোতে বাসিন্দাদের অ্যাক্সেস বাড়াতে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।
স্মিথ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের এই শহরে আগে একটি মুদি দোকান ছিল, কিন্তু সেটি এখন বন্ধ। খাবার সংগ্রহ করতে আমাদের সিনিয়রদের পশ্চিম মেমফিসে যাওয়া-আসা করার কোনো পরিবহন নেই। তাই এই শহরে একটি মুদির দোকান থাকলে ভালো হবে।’