ঠিকানা রিপোর্ট: বাংলাদেশের দুই অভিনয় শিল্পী তৌকীর আহমেদ ও বিপাশা হায়াত স্থায়ী হচ্ছেন আমেরিকায়। স্থায়ীভাবে বসবাস করার প্রস্তুতির জন্য সন্তানদের নিয়ে তারা এরই মধ্যে আমেরিকায় এসেছেন। তারা বর্তমানে টেনেসিতে তাদের এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন। যদিও বিপাশা এসে ব্রুকলীনের একটি বাসায় উঠেছিলেন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা অবশ্য তৌকীর-বিপাশা দম্পতি নিয়েছেন আরো আগেই। সেই লক্ষ্যে বিপাশা হায়াত গত মার্চে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগেই আমেরিকায় চলে আসেন। মূলত সন্তানদের লেখাপড়ার স্বার্থেই তারা দেশ ছেড়ে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

অন্য দিকে করোনার প্রকোপ একটু কমার পর আমেরিকায় ফ্লাইট চালু হলে গত সেপ্টেম্বরে দুই সন্তানকে নিয়ে তৌকীর আহমেদ বিপাশার সঙ্গে যোগ দেন। এই দম্পতির দুই সন্তান মেয়ে আরিশা আহমেদ ও ছেলে আরীব আহমেদ।
জানা গেছে, ছেলেমেয়ের পড়ালেখার কারণেই তারা আমেনিকায় এসেছেন। ইতোমধ্যেই তারা স্থায়ীভাবে থাকার জন্য আবেদন করেছেন এবং তাদের বিশেষ ক্যাটাগরির আবেদনটি গৃহীত হয়েছে। আরো জানা গেছে, তৌকীর আহমেদ অল্পসময়ের মধ্যেই আবার দেশে ফিরে যাবেন। বাংলাদেশে যাওয়া-আসার মধ্যেই থাকবেন। তবে বিপাশা সন্তানদের সঙ্গে আমেরিকায় স্থায়ী হবেন।
আশির দশকের শেষের দিকে তৌকীর আহমেদের অভিনয় জীবনের শুরু হয়। নাটক ও চলচ্চিত্র দুই মাধ্যমেই তিনি অভিনয় করেন। পরে লন্ডনের রয়্যাল কোর্ট থিয়েটার থেকে মঞ্চ নাটক পরিচালনার প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে চলচ্চিত্রে ডিপ্লোমা করে তিনি নাট্য ও চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জয়যাত্রা’ পরিচালনা করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
তৌকীর ১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা হায়াতকে বিয়ে করেন। গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর তৌকীর- বিপাশা দম্পতি গড়ে তোলেন ‘নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট ও কনফারেন্স সেন্টার’।
অন্য দিকে বিপাশা হায়াত টিভি অভিনেতা আবুল হায়াতের কন্যা। তার ছোট বোন নাতাশা হায়াতও একজন টিভি অভিনেত্রী। নব্বইয়ের দশকে জনপ্রিয় অনেক টিভি নাটকে অভিনয়ই তাকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। মঞ্চনাটকেও তিনি সমানভাবে সফল ছিলেন; কিন্তু বিয়ের পর মঞ্চনাটকে অভিনয় ছেড়ে দেন। বিপাশা হায়াত আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।