
ঠিকানা ডেস্ক : চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন নিয়ন্ত্রিত গুগল। ১৪টি অঙ্গরাজ্যে ডাটা সেন্টার নির্মাণ এবং কার্যালয় বানাতে এ অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। গুগলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাজারে কার্যক্রম সম্প্রসারণে নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।
গত বুধবার এক ব্লগ পোস্টে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই বলেন, এ বিনিয়োগের ফলে স্থানীয় বাজারে তাদের সক্ষমতা বাড়বে। ডজনের বেশি অঙ্গরাজ্যে কার্যক্রম সম্প্রসারণ ছাড়াও ১০ হাজারের বেশি নির্মাণ-সংশ্লিষ্ট নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি গুগলের কর্মী বাহিনীতে ১০ হাজারের বেশি নতুন কর্মী যুক্ত হবে। তিনি বলেন, নতুন বিনিয়োগের ফলে স্থানীয় বাজারের ২৪টি অঙ্গরাজ্যে গুগলের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে। ১৩টি কমিউনিটিতে তাদের নিজস্ব ডাটা সেন্টার থাকবে। দ্বিতীয় বছরের মতো সিলিকন ভ্যালির বাইরে কার্যক্রম সম্প্রসারণে এ বিনিয়োগের পরিকল্পনা চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। গুগল ছাড়াও ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন এবং অ্যাপলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এখন সিলিকন ভ্যালির বাইরে কার্যক্রম সম্প্রসারণে জোর দিচ্ছে। সিলিকন ভ্যালির একাধিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি রাজধানীখ্যাত সিলিকন ভ্যালির বাইরে কার্যক্রম জোরদার ও কার্যালয় স্থাপনে গত বছর ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে গুগল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী বাহিনীতে ১০ হাজারে বেশি নতুন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বøগ পোস্টে সুন্দর পিচাই বলেন, গুগল এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যে উপস্থিতি বাড়াতে জোর দিচ্ছে। এজন্য ডাটা সেন্টার ও কার্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে। গুগলের এ বিনিয়োগ নেবরাস্কা, নেভাডা, ওহাইও, টেক্সাস, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়ার সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে জোর দিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিদেশী কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এছাড়া কৌশলগত মার্কিন প্রযুক্তিতে চীনসহ বেশকিছু দেশের বিনিয়োগ ঠেকাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার দেখা
গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে খুশি করতে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছে গুগল। একই কারণে চলতি বছর আরো বেশি বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।