যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আকাশে চীনের নজরদারি বেলুন!

ঠিকানা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় কয়েক দিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে একটি রহস্যময়ী বেলুন। বেলুনটিকে চীনের গোয়েন্দা নজরদারি বেলুন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির কয়েক ঘণ্টা পর কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের আকাশসীমায়ও এমন বেলুনের দেখা মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রথমে বেলুনটি গুলি করে ভূপাতিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এটির ধ্বংসাবশেষ মাটিতে আছড়ে পড়লে নিরাপত্তাঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে, সে আশঙ্কায় পরবর্তী সময়ে সামরিক কর্মকর্তারা গুলি করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সর্বশেষ বেলুনটিকে দেখা গেছে মন্টানা রাজ্যে। তাদের দৃঢ়বিশ্বাস বেলুনটি চীনেরই।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেলুনটি আলাক্সার আলুতিয়ান দ্বীপ থেকে কানাডা হয়ে ১ জানুয়ারি বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যের বিলিংস শহরে আসে। তাদের দাবি, রহস্যময় ওই বেলুনটি গুরত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি জনবহুল রাজ্য মন্টানা। যুক্তরাষ্ট্রের যে তিনটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র সিলো ফিল্ড আছে, সেগুলোর একটি মন্টানায় অবস্থিত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ রহস্যময়ী বেলুন সম্পর্কে অবিহত করা হয়েছে। বেলুনটিকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আপাতত বড় কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই। যাত্রীবাহী বিমান যে উচ্চতায় উড়ে যায়, বেলুনটির অবস্থান তার চেয়েও উঁচুতে। ফলে বিমান চলাচলে কোনো ঝুঁকি নেই।

এদিকে কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডাও এখন রহস্যময় বেলুনটি পর্যবেক্ষণ করছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘উচ্চ-উচ্চতার একটি নজরদারি বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে এবং এটির গতিবিধি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নর্থ আমেরিকান অ্যারোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (এনএডিসি)। কানাডিয়ানরা নিরাপদ আছেন। আকাশ নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’

ঠিকানা/এনআই