যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সব শাখায় পিপলএনটেকের Fall সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন

নিউ ইয়র্ক : গত ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির (পিপলএনটেক) সব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে Fall সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশন ।
সোনার হরিণ হাতে পাবার স্বপ্ন নিয়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি যে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েছিলেন, এখন তা আর স্বপ্ন নয়। পিপলএনটেক সে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে- আলাপচারিতায় এমনটিই বলছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ।
তিনি বলেন, আগে যুক্তরাষ্ট্রের আইটি প্রতিষ্ঠানে স্বল্পসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মরত ছিলেন, যাদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশ বা যুক্তরাষ্ট্রে আইটিতে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত। কম্পিউটার সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং বা আইটি ডিগ্রি ছাড়াও মেধা, যোগ্যতা ও অধ্যবসায় দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইটিতে জব পাওয়া সম্ভব, সেটাই প্রমাণ করেছে পিপলএনটেক। আইটিতে পিপলএনটেক পুরোনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে দিয়েছে। মাত্র চার মাসের প্রশিক্ষণ শেষে একজন বাংলাদেশি বছরে ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ডলার বেতনে চাকরি পাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটি গত ১৫ বছরে প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশিকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছে। এছাড়া প্রায় ৩২টি দেশের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরি পাচ্ছে।
উক্ত অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে আফতাব সিদ্দিকী, ময়না বেগম, সেলিনা তানহা, গিজি চাকো, অতুল সিং, এহতেশাম ইজাজ, শুভ্র সানিসহ আরো অনেকে তাদের সাফল্যের পেছনে পিপলএনটেক-এর অবদানের কথা স্বীকার করেন।
চাকরিপ্রাপ্তদের মধ্যে আফতাব সিদ্দিকী বলেন, পিপলএনটেক প্রশিক্ষণ শেষে যে মক ইন্টারভিউ, টিউটোরিং, মেনটোরিং করে, তা তাকে সব চাইতে বেশি সাহায্য করেছে তার স্বপ্নের জব পেতে।
ময়না বেগম জানান, তার আইটির হাতেখড়ি পিপলএনটেকের মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন, পিপলএনটেকের শিক্ষক ও নিরলস কর্মীরা তাকে প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে চাকরি পাবার আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন।
সেলিনা তানহা জানান, তিনি একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। পিপলএনটেক তার জীবনে এনেছেন আমূল পরিবর্তন। কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই আইটি সেক্টরে তার পদার্পণ। তার জীবনের একটি ইউটার্ন, যা কিনা বাস্তবায়ন হয়েছে শুধুমাত্র পিপলএনটেকের সহযোগিতায়। পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণ তাকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে আরো বলেন, তিনি ও তার পরিবার সর্বদা পিপলএনটেকের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন।
জনাব হানিপ আরও জানান, পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি প্রাপ্তির সংখ্যা আগের তুলনায় আরও বেড়ে গেছে। কেননা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এইচ-ওয়ান-বি ভিসায় বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী আনার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিচ্ছে। সেই সাথে পিপলএনটেক আপডেটেড কারিক্যুলামে সেলেনিয়াম, কিউটিপি/ইউএফটি, ডাটাবেইজ এডমিনিস্ট্রেশন, ডেভ-অফস, ফ্রন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট- এ পাঁচ বিষয়ে প্রশিক্ষণদানের ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চাকরি প্রাপ্তির হার যেকোনো সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণ শেষে যেখানে গড়ে প্রতিমাসে ২০জন শিক্ষার্থী চাকরি পেতেন, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ জনে উন্নীত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রকৌশলী আবু হানিপ বিভিন্ন স্থানে জব সেমিনারের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।