ঠিকানা অনলাইন : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারেন অভিনয়য়শিল্পী তাহসান রহমান খান, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান আজ ১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ৪ ডিসেম্বর প্রতারণার এই মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান। ৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘মামলায় বাংলাদেশের কয়েকজন সেলিব্রিটির নাম আছে। এর মধ্যে আছেন তাহসান, শবনম ফারিয়া ও মিথিলা। তাঁরা এই মামলার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর আসামি। তাঁরা আমাদের নজরদারিতে আছেন। যেকোনো সময় তাঁরা গ্রেপ্তার হতে পারেন।’
পুলিশের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। আমি আসলে কিছুই ডিটেইল জানি না। এখনো বুঝতে পারছি না। বিষয়টির কিছুই জানি না।’
মিথিলা বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। আমি তো আসলে কিছু করি নাই। আমি তো ওখানে (ইভ্যালিতে) ছিলাম এক মাসের মতো। আমার জন্য শকিং। কখনো হয় নাই তো। আসুক লিগ্যাল নোটিশ।’
মিথিলা বলেন, ‘আমরা তো হাজারের বেশি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করি। এখন একটি নিয়ে মামলা হলো। দেখি।’
অভিনেতা তাহসান এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যা। শবনম ফারিয়ার সঙ্গে যোগাযেোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার এজাহারে সাদ স্যাম রহমান অভিযোগ করেন, ইভ্যালি থেকে ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকায় মোটরসাইকেল অর্ডার করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি।
ঠিকানা/এসআর