
কখনো কি ভেবেছেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষকদের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার কোনগুলো? প্রতি বছর বিজ্ঞানী ও গবেষকদের হাত ধরে পৃথিবী দেখতে পায় অনেক কালজয়ী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। এসব আবিষ্কার মানুষকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে এবং পৃথিবীকে নতুন করে দেখতে সহায়তা করে। প্রযুক্তিনির্ভর প্রাপ্তি ও উদ্ভাবনের একটা বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে যা স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতের নানা বিষয়কে পুনর্বিন্যাসের ক্ষমতা রাখে। আমাদের চার দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে গাণিতিক হারে। সম্প্রতি উদ্ভাবিত যেসব উদ্ভাবনের কথা এখানে বলা হচ্ছে সেগুলোর অনেকগুলোই এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির প্রতিবেদন অবলম্বনে লিখেছেন লায়লা আরজুমান্দ
পরিধানযোগ্য ডিভাইসের বিপ্লব
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রদান ও পরিধানযোগ্য ডিভাইসের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড ফিটবিট। ঘড়ি বা ব্রেসলেটের মতো একে হাতে পরা যায়। এই ফিটবিট ডিভাইস শুরু হওয়ার গত এক দশকে প্রায় বিপ্লব হয়ে গেছে বলা যায়। সারা দিনের কর্মকা-ের তথ্য যেমনÑ ওজন কমল কি না, কত কদম হাঁটা হয়েছে এমন আরও বেশ কিছু কার্ডিওভাসকুলার সম্পর্কিত নির্ভুল তথ্য প্রদানে সক্ষম ফিটবিটের পরিধানযোগ্য ডিভাইসগুলো। হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ, ঘুমের পরিমাণ, শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা, ব্লাড সুগার সম্পর্কিত তথ্যও ব্লুটুথ দিয়ে আদান প্রদান করা যায়। এই সব তথ্য এক সময় শুধু ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেই পাওয়া যেত। আর বর্তমানে এটা মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে। এ দিক দিয়ে বলা যেতেই পারে পরিধেয় ডিভাইসগুলো এক একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ক্ষেত্রে।
চোখের পানিতে ধরা পড়বে ডায়াবেটিস
সাধারণত রক্ত পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস আছে কি না তা জানা যায়। তবে সম্প্রতি এমন এক ধরনের কন্টাক্ট লেন্স আবিষ্কার করা হয়েছে যেটা কি না চোখে লাগানো থাকবে। যেটা চোখের পানিতেই ধরে ফেলতে পারবে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা। গবেষণা করে যৌথভাবে এই কন্টাক্ট লেন্স আবিষ্কার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সাযেন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং স্যাংকানকোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এই কন্টাক্ট লেন্সের নাম দিয়েছে ‘ওয়্যারলেস ওয়্যারলেস স্মার্ট কনট্যাক্ট লেন্স’। বাজারে বাণিজ্যিকভাবে যে কন্টাক্ট লেন্স পাওয়া যায় সেই একই উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কন্টাক্ট লেন্স। উলসান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর পার্ক জি-হুন জানান, এটি খুব নরম ও হালকা। এটি ব্যবহারে কোনো অস্বস্তি হবে না। যিনি পড়বেন তার দৃষ্টিশক্তিও কোনো বাধাপ্রাপ্ত হবে না। যখনই রক্তে গ্লকোসের মাত্রা পরিবর্তিত হবে তখনই একটি এলইডি লাইট দিয়ে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। গবেষকরা প্রথমে একটি খরগোশের ওপর এই পরীক্ষাটি চালিয়েছিলেন সফলভাবে। ভবিষ্যতে হয়তো স্মার্ট কন্টাক্ট লেন্সের সঙ্গে যুক্ত হবে আরও যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপ। যাতে করে ক্যানসর ও অন্যান্য রোগের অবস্থার প্রাথমিক সূচকগুলো ধরা পড়বে।
সেলফিতে ধরা পড়বে ক্যানসার
সেলফি তুলতে আমরা কে না পছন্দ করি। কিন্তু জানেন কি এই সেলফি দিয়ে শনাক্ত করা যাবে প্যানক্রিয়েটিক বা অগ্নাশয়ের ক্যানসার। গবেষকরা এমন একটি অ্যাপ আবিষ্কার করেছেন যা দিয়ে সেলফি তুললে সেই সেলফি বিশ্লেষণ করেই প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসারের লক্ষণ রয়েছে কি না তা ধরা পড়বে। এই অ্যাপটি আবিষ্কার করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকরা। তবে এর জন্য দরকার হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডফোনের মতো দেখতে একটি ডিভাইস। যিনি এটি দিয়ে সেলফি তুলবেন, সেই সেলফিটির অ্যাপ তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিশ্লেষণ করে চোখের সাদা অংশে বিদ্যমান বিলিরুবিনের পরিমাণ জানিয়ে দেবে। প্রাথমিক অবস্থায় প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার এবং অন্যান্য কিছু রোগের অন্যতম লক্ষণ হলো চোখের সাদা অংশের স্বাভাবিক রঙ অন্য রকম হয়ে যাওয়া। রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখের রঙ অস্বাভাবিক হয়ে যায়। বিপজ্জনকমাত্রার বিলিরুবিন যদি ক্যামেরা ধরতে পারে, তবে সময়ের অনেক আগেই আসন্ন রোগ শনাক্ত করা যেতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ থাকতে পারবেন।
শরীরের ভেতর ঘুরে বেড়াবে রোবট
খাদ্যনালিতে কোনো কিছু আটকে গেলে ভবিষ্যতে আর অস্ত্রোপচারের দরকার পড়বে না। তা ছাড়া পাকস্থলীর ক্ষত সারাতেও নাকি আর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়বে না। গবেষকরা এই বুদ্ধিমান রোবটের নাম দিয়েছেন অরিগামি রোবট। মাত্র পাঁচ মিলিমিটার আকৃতির এই ক্ষুদ্র রোবটটিকে স্তরে স্তরে ভাঁজ করে ক্যাপসুলের প্রলেপের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেটা গিলে খেয়ে ফেলা হয় অন্যান্য ওষুধের মতোই। শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে এর বাইরের আবরণটি গলে যায় এবং রোবট ভাঁজ খুলে পূর্ণ আকৃতি পায় এবং তার কাজ শুরু করে। পাকস্থলীর দেয়াল ধরে হামাগুড়ি দিয়ে ক্ষতস্থানে অসুধ সরবরাহ করে আসতে পারবে। খাদ্যনালিতে কিছু আটকে গেলে রোবটটি সেটা বহন করে বাইরে নিয়ে আসবে। রোবটটিকে বাইরে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
তবে গবেষকরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে ইমেজিং সিস্টেম, বিশেষ করে আলট্রাসাউন্ড ও এমআরআইয়ের সাহায্য নিতে হবে। কারণ, প্রাণীদেহে এ ধরনের রোবটের ব্যবহার অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। তবে এ গবেষণায় সফল হবেন বলে আশাবাদী তারা।
প্রোস্টেট ক্যানসারের উন্নততর বিশ্লেষণ
হাই গ্রেড প্রোস্টেট ক্যানসার মানুষের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আর লো গ্রেড ক্যানসারের জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি নিয়মিত ফলোআপ করতে হয়। সম্প্রতি প্রোটেস্ট ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে গবেষণার নতুন এক তথ্য প্রকাশ করেছে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক। তাদের এক দল গবেষক জানিয়েছে যে রোগীর ঃবংঃড়ংঃবৎড়হব-নধংবফ জন্মগতগত ত্রুটির কারণে অনেক ওষুধ তার জন্য কার্যকর নাও হতে পারে। সে জন্য এই ধরনের প্রত্যেক রোগীর নিজস্ব জন্মগত ত্রুটি অ্যানালাইসিস করে কার্যকর ওষুধের ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরেক দল গবেষক প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে নতুন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন। যেটা নাকি প্রচলিত টেস্টের থেকে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। তাদের এই আবিষ্কারের ফলে ভবিষ্যতে প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয়ে যে জটিল প্রক্রিয়া তা কমিয়ে দিয়ে চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।
রক্তচাপ মাপা খুব সহজ
বিজ্ঞানীরা একটি ছোট রক্তচাপ মাপার যন্ত্র বানিয়েছেন। যার নাম দিয়েছেন ‘প্যাচ’। এটা চামড়ার ওপর থেকেই রক্তচাপ নির্ণয় করতে সক্ষম। প্যাচের আকার চিঠির খামের স্ট্যাম্পের সমান ছোট যা লাগিয়ে রাখা যাবে হাতে বা গলায়। এটা একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার এই জন্য যে, এটাই প্রথম পরিধানযোগ্য ডিভাইস যা কি না মানুষের ত্বক ভেদ করে কোষের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। প্যাচটি কাজ করে থাকে আলট্রাসনিক তরঙ্গের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে সে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে যুক্ত করে। সেখানে তথ্য বিশ্লেষণ করে রক্তচাপ নির্ধারণ করা হয়। গবেষকরা চেষ্টা করছেন ধীরে ধীরে এটিকে আরও উন্নত করে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে। তবে তার জন্য গবেষণার আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
অপরিণত শিশুদের জন্য মিউজিক থেরাপি
গত ২০ বছরে প্রিম্যাচিউর বেবির জন্মহার বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগে কোনো শিশু জন্মালে তাকে বলা হয় প্রিম্যাচিউর বেবি। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে এই শিশু জন্মানোর ফলে তারা মায়ের গর্ভের পুষ্টিকর ও আরামদায়ক বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যেহেতু তাদের বৃদ্ধি তখনো পূর্ণ হয় না তাই প্রায়ই তাদের নিয়ে যেতে হয় নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ)। জেনেভা, সুইজারল্যান্ডের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই শিশুদের পরিচর্চা বা যতেœর অংশ হিসেবে অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি সংগীত বা মিউজিককে ব্যবহার করা হয়। এই এনআইসিইউ সংগীত প্রকল্পটি একটি নতুন ও অভিনব প্রকল্প। এই সংগীত প্রকল্পে মোট তিনটি মিউজিক বা গান রয়েছে। এই মিউজিক শোনানোর জন্য রয়েছে এক বিশেষ ধরনের হেডফোন। যা খুব নরম ও নাজুক এবং ছোট্ট এই শিশুর জন্য আরামদায়ক। এই প্রকল্প আসলে একটি চলমান গবেষণার অংশ। এই গবেষণার বিষয় হচ্ছে কীভাবে মিউজিক ছোট্ট শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে প্রভাবিত করে, শিশুর ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, সুর ইত্যাদি বিষয়ে রিয়েক্ট করে তা অনুধাবন করা। এই প্রকল্পটি একসাথে সম্পাদনা করছেন স্নায়ুবিশারদ পেট্রা হুপ্পি, গবেষক ম্যানুয়েলা ফিলিপ্পা এবং সুরকার অ্যানড্রেস ভলেনউইডার। গান শোনানোর সময় এই অপরিণত শিশুদের মস্তিষ্ক এমআরআই দ্বারা স্ক্যান করা হয়। যাদের গান শোনানো হয়েছে এবং যাদের গান শোনানো হয়নি এই দুই ধরনের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ তুলনা করা হয়। হুপ্পির ভাষ্যমতে, গানগুলো নবজাতকের ঘুমিয়ে পড়া, জেগে ওঠা, পারস্পরিক ক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে সাহায্য করে। তিনি জানান সম্পূর্ণ ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে প্রাথমিক ফলাফল আশাব্যঞ্জক।
থ্রিডি প্রিন্টারে বায়োনিক চোখ
মানবদেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোনো অঙ্গের প্রতিস্থাপনের ঘটনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন কিছু নয়। হাত-পা থেকে শুরু করে কিডনি বা হৃৎপি- প্রতিস্থাপনের ঘটনাও এখন হরহামেশাই ঘটছে। আরেকজনের দান করা চোখের মাধ্যমে দৃষ্টিহীনরা ফিরে পাচ্ছেন হারানো দৃষ্টি। তবে কয়েক বছর আগে গবেষকরা দৃষ্টিহীনদের চোখের আলো ফেরাতে এমন এক ধরনের কৃত্রিম চোখ তৈরিতে সক্ষম হন। এর নাম দিয়েছেন তারা বায়োনিক চোখ। তবে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক সম্প্রতি বায়োনিক চোখের ক্ষেত্রে নতুন এক বিপ্লবের সূচনা করেছেন। গবেষকরা এমন এক উপায় খুঁজে বের করেছেন যার মাধ্যমে থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি করা যাবে মানুষের সবচেয়ে অপরিহার্য এই অঙ্গটি এবং খরচও হবে খুবই কম। দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন স্থায়ী অন্ধত্বের শিকার বা দুর্ঘটনায় দৃষ্টিহীন হওয়া অসংখ্য মানুষ।
উদ্ভাবিত সেমি কন্ডাক্টরটির এখনই ২৫ শতাংশ দৃষ্টিক্ষমতা ফেরাতে সক্ষম। এই প্রক্রিয়ায় মূলত অক্ষিগোলকে আলোকসংবেদী অংশের অর্ধবৃত্তাকারের প্রতিরূপ তৈরি করা হয়। তাতে এমন একটি পলিমার ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয় যার মধ্য দিয়ে সহজেই আলো চলাচল করতে পারে। তবে দৃষ্টিহীনদের চোখে তা বসাতে আরও অনেক গবেষণা ও আনুষঙ্গিক আরও কিছু ডিভাইসের উন্নয়ন ঘটাতে হবে বলে গবেষকরা জানান।
ডিএনএ অরিগামি
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট আকৃতিতে ভাঁজ করা যায় ডিএনএকে। ডিএনএ অরিগামি উদ্ভাবনের ফলে ন্যানোপ্রযুক্তি যেন এক নতুন যুগে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এই পদ্ধতিতে ডিএনএ’র মতো বিশাল অণুকে ক্ষুদ্র আকারে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়। এরপর একে ব্যবহার করা হয় ক্যানসার থেরাপিসহ অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে। বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কল্যাণে আবিষ্কৃত এই প্রযুক্তিটি কাজ করে মূলত একটি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে। গবেষকরা আশা করছেন, খুব শিগগিরই হয়তো ডিএনএ অরিগামির মাধ্যমে মানুষের শরীরের সুনির্দিষ্ট অংশে জিন এডিটিংয়ের মতো কাজও করা সম্ভব হবে।