যোগ্যতা

রাজু বিশ্বাস (রমা)

ওজনটা খুব কমই ছিল পারতে তুমি বইতে,
না হয় ভালোবেসে আমায় একটু কষ্ট সইতে!

আর যোগ্যতাটা কম-বা কিসে ছিলাম তোমার কাছাকাছি,
এত দিনের পরেও এসব ভাবছ কেন মিছামিছি?

তুমি যেমন চাষার ছেলে হয়তো ছিলে নামকরা,
আমিও সেই চাষির মেয়ে শান্তশিষ্ট মনোহরা।

লোকে বলে কালো হলেও গড়নখানা খারাপ নয়,
জেনেশুনে ভালোবেসে এমন করে বলতে হয়?

তুমিও তো বলতে আমায় আমি নাকি দেখতে বেশ,
এখন কেন মনের মাঝে এত দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষ?

যতই আমায় কালো বলো ভাবো যতই অযোগ্য,
পুরুষ মানুষ একটু বেশি হতেই পারে বিজ্ঞ।

জ্ঞান-গরিমায় হয় না নারী পুরুষ বাবুর সমান সমান,
হলেই কিবা অর্ধাঙ্গিনী থাকবেই কিছু ব্যবধান।

তবু যদি যোগ্যতা নিয়ে এতই ভাবনা হয়,
তাকিয়ে দেখো তোমার চেয়ে আমিও কম নয়।

তুমি যেমন পাস করেছ কলেজ ডিগ্রি নিয়ে,
কলেজ পড়েই আমিও তো পাস করেছি বিএ।

সংসারেরই দুঃখ-কষ্টে হয় যদি গো লড়তে,
কান্ডারি হয়ে তোমার সাথে পারব হালটি ধরতে।

প্যান্ট গেঞ্জি শার্ট পরে ধরব গাড়ির স্টিয়ারিং,
শাঁখা-সিঁদুর শাড়ি পরে তোমার সেবায় হব লীন!

রৌদ্র খরা বৃষ্টি হব তুমি যখন হও কৃষক,
তুমি যদি হও ছাত্রনেতা পারব হতে সমাজসেবক।

খড়গো হাতে নিতে পারব লাগলে কোনো দাঙ্গা হামলা,
রাজনীতির মিছিলে গিয়ে বলতে পারব জয় বাংলা।

কবি হয়ে যখন তুমি লিখতে লিখতে হও উদাসীন,
আমি তোমার পাশে বসে লিখে দেব দু-চার লাইন।

যদি এসব কম মনে হয় নাইবা মানো ত্রুটি,
তবে তোমার জীবন থেকে চেয়েই নিলাম ছুটি।

নতুন করে জন্ম হলে আবার যদি দেখা হয়,
নিজের সাথে একটু আমায় করে নিয়ো সমন্বয়।
-নিউইয়র্ক।