ঠিকানা ডেস্ক : শান্তির শহরখ্যাত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মানুষ যেন এখনো বিশ্বাসই করতে পারছে না যে ধর্মের নামে তাদের ওপর হামলা হতে পারে। ঘটনার আকস্মিকতায় তারা যারপরনাই হতভম্ব, মর্মাহত। তাই তো শান্তির বার্তা দিতে সেই রক্তাক্ত আল নুর মসজিদের গেটে গত ১৭ মার্চ দলে দলে হাজির হয়েছিলেন তারা। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে সেখানে তারা রেখে গেছেন ফুল ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বার্তা লেখা কার্ড।
গত ১৭ মার্চ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে হাজির হয়েছিল অনেক শিশু। বড়দের সঙ্গে তারাও মসজিদের গেটে বিভিন্ন কার্ডে লিখে রেখে যায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নানা বার্তা। এমনই একটি কার্ডে লেখা ছিলÑ ‘খুবই মর্মাহত। আমরা সবাই এমন নই।’ আরেকটি কার্ডে লেখা- ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা, তোমাদের আত্মা শান্তি পাক।’
কেউ কেউ আবার ফুলের তোড়ার সঙ্গে লিখে এনেছিলেন- ‘পাশে আছি। তোমাদের কষ্টগুলো আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নাও।’ শুধু ফুল বা কার্ড নয়, শোকাহত এক ব্যক্তি মসজিদের সামনের রাস্তায় চক দিয়ে লিখেছেনÑ ‘ওরা কখনো জিতবে না। ভালোবাসাই বিজয়ী হবে।’ এর মধ্যেই গত ১৭ মার্চ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরড্রেন কালো পোশাক পরে মাথায় ওড়না জড়িয়ে য়েলিংটনের কিলবের্নি মসজিদে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় তিনি ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানান। দেশটিতে বসবাসরত মুসলমানদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ড শুধু তাদেরই, যারা এই দেশকে নিরাপদ ভাবেন। যা ঘটেছে তার মর্মবেদনা আমরা উপলব্ধি করছি। এ ধরনের ঘটনা যেহেতু লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে ঘটেছে, তাই আমি আপনাদের বলতে পারি, অস্ত্র আইন আরও কঠিন করা হবে।