রাঙামাটিতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে (৫২) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মে) বেলা সোয়া ১১টায় নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের পাশে বাসা থেকে নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।
হত্যার বিষয়টি জানিয়েছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির। এ সময় রূপম চাকমা (৩৫) নামের আরেকজন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা জানান, অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বের হয়ে যান। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নামে যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয় তার অন্যতম উদ্যোক্তা ও শীর্ষ নেতা। তিনি সর্বশেষ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শক্তিমান চাকমার সঙ্গে থাকা আহত রূপম চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সকালে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে শক্তিমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কারা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটিতে আনা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেছেন, সকালে উপজেলা চত্বরের নিজ বাসা থেকে মোটরসাইকেলে রূপম চাকমা ও শক্তিমান কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দুজন অস্ত্রধারী মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের গুলি করে। শক্তিমান চাকমার শরীরে তিনটি গুলি লাগে এবং তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সুদর্শন চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেন। তিনি বলেছেন, কারণ ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিমানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেছেন, এটি তাদের অন্তর্কোন্দলের ফলে হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা কোথা থেকে এর মধ্যে আসব। আমার ধারণা, তাদের নিজেদের বিরোধ কিংবা যারা আমাদের মধ্যে বিরোধ জিইয়ে রাখতে চায়, এমন তৃতীয় পক্ষই এই কাজটি করেছে।’