রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গড়ার আহ্বান

চবি অ্যালামনাই নাইটে সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মিলন

নিউইয়র্ক : চবি অ্যালামনাই নাইটে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর মাহমুদ।

ঠিকানা রিপোর্ট : নিউইয়র্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা উদযাপন করলো অ্যালামনাই নাইট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এ অনুষ্ঠানে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের বিপুল সম্মিলন ঘটে। রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গড়ার আহবান জানান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালামনাই গঠনের ২৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১৯ নভেম্বর শনিবার নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে ডিটমার্স বুলেভার্ডের লাগোয়ার্ডিয়া প্লাজা হোটেলে অ্যালামনাই নাইট ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে জুম ভিডিওতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার।
প্রবাসে গত ২৯ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করলো। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন প্লাজা হোটেলের বলরুম ছিল পরিপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা নেচেগেয়ে অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে রাখেন।
অ্যালামনাই নাইট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠানের আহবায়ক ছিলেন বাংলা সিডিপ্যাপ ও অ্যালেগ্রা হোমকেয়ারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ। সন্ধ্যায় তুমুল করতালির মধ্যে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনতার আগে যারা একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাদের আজ আমি স্মরণ করছি। রাজনৈতিক সংকীর্ণতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল চেতনার অপমৃত্যু ঘটেছে। একে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে দলীয় লেজুরবৃত্তিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গড়ে তুলতে হবে। দলের প্রভাব বলয়ের বেড়াজাল থেকে ছাত্র সংগঠনগুলোকে বের করে আনতে হবে। তবেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান চর্চা ও নেতৃত্ব তৈরির কারখানায় পরিণত হবে। মনে রাখতে হবে স্বাধীন বাংলাদেশের যতটুকু অর্জন তা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেতৃত্ব থেকেই এসেছে। আমরা প্রবাসে বসেও বাংলাদেশের সুন্দর উত্তরণের জন্য কাজ করছি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য শিগগির ভালো কিছু আসবে।
অ্যালামনাই নাইট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ আহমেদ। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকবাল ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ ও ছন্দা বিনতে সুলতান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, প্রফেসর ড. রহমান নাসির উদ্দীন, ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, মূলধারার রাজনীতিক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল শামীম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা ফেরদৌস চৌধুরী, ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান মীর চৌধুরী, ববি চৌধুরী, হেলাল চৌধুরী, আনোয়ারুল করিম, বিষ্ণু গোপ, আবু তাহের, সেকেন্দার চৌধুরী, শামীম আল মামুন, পলি পারভিন, কবির কিরণ, শাহেদ আলী, রাহি ইয়াহিয়া, নুর ইয়াহিয়া, ইরফানুল কবির ও সুশ্রীত চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রিজিয়া পারভিন, সায়রা রেজা ও চন্দন চৌধুরী।
সম্মেলন উপলক্ষে ‘শাটল ট্রেন’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়।