রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটিতে ভোট ৩০ জুলাই

মহানগর ডেস্ক : রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তিন সিটিতে আগামী ৩০ জুলাই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এই তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২৮ জুন। ১ থেকে ২ জুলাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ৩ থেকে ৫ জুলাই আপিল ও আপত্তি জানানো যাবে। এছাড়া ৯ জুলাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং ১০ জুলাই প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
সিইসি বলেন, তিন সিটির তফসিল আজকে ঘোষণা করা হলেও এর কার্যক্রম শুরু হবে ১৩ জুন থেকে। অর্থাৎ ১৩ জুন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত কোনও প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।’
আইনি জটিলতার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি। সীমানা সংক্রান্ত আইনগত কোনও জটিলতা নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা যে আচরণবিধি করেছি, তার সংশোধন এখনো হয়নি। সংশোধনী না হওয়া পর্যন্ত এটি বলা যাচ্ছে না।’ আইনি জটিলতার বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়েছি। সীমানা সংক্রান্ত আইনগত কোনো জটিলতা নেই।’
খুলনা সিটি করপোরেশন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘খুলনা সিটির ভোট নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আমরা তদন্ত কমিটি করেছিলাম তারা খুলনা থেকে ঘুরে এসেছে। এর পরে আমরা বিস্তারিত জানাব।’
সিইসিকে করা এক প্রশ্নের উত্তর দেন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা এমপিদের প্রচারণার ব্যাপারে যে সংশোধনী এনেছি, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের (যাচাই-বাছাই) জন্য পাঠানো হবে। ভোট শেষে আগামী ১৩ জুনের আগে যদি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করতে পারি, তাহলে এই তিন সিটিতে এমপিরা প্রচারণার সুযোগ পাবেন।’
২০১৩ সালের ১৫ জুন একসঙ্গে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন এবং ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়েছিল। তবে ভোটের পর একেকটি সিটি করপোরেশনে একেকদিন প্রথম বৈঠক বসে। আর ওই বৈঠক থেকেই করপোরেশনের মেয়াদ শুরু হয়। সে হিসাবে ৫ অক্টোবর রাজশাহী সিটি, ৮ অক্টোবর সিলেট ও ২৩ অক্টোবর বরিশাল সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর; নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে ৯ এপ্রিল।
সিলেট সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর, ১১ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে।
বরিশাল সিটির প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে ২৭ এপ্রিল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোটের পরিকল্পনায় খুলনায় নির্বাচন হয়েছে গত ১৫ মে। আর গাজীপুরের ভোট হবে ২৬ জুন।
চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।