রানা প্লাজা ট্রাজেডি: মামলা এগোচ্ছে কচ্ছপ গতিতে

ঠিকানা অনলাইন : বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ইতিহাসে অন্যতম বড় ট্র্যাজেডি রানা প্লাজা ধস। দুঃসহ স্মৃতি আর আর্তনাদে পেরিয়েছে ওই ঘটনার ১০ বছর, কিন্তু এখনও হয়নি বিচার। রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলাও এগোচ্ছে কচ্ছপ গতিতে।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। এরপর ১০ বছরে প্রায় ৬০০ সাক্ষীর মধ্যে শেষ হয়েছে মাত্র ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ। কবে শেষ হবে বিচারকাজ, জানে না রাষ্ট্রপক্ষ। যদিও মামলার এ বেহাল দশার জন্য প্রভাবশালী আসামিদের আইনি প্যাঁচকে দায়ী করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

রানা প্লাজার ঘটনায় অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগের প্রমাণ মেলে। ২০১৫ সালে সিআইডি ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। বিচার শুরু হয় ২০১৬ সালে। এরপর একের পর এক আসামি হাইকোর্টে যাওয়ায় মামলাটির বিচার থমকে থাকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমদ্দার সম্প্রতি সময় সংবাদকে বলেন, অনেক সাক্ষীকেই পাওয়া যাচ্ছে না। প্রত্যেক ধার্য তারিখে আদালত থেকে প্রায় ২০ জন করে আদালত দ্বারা প্রসেস প্রদান করা হয়। সেখানে ৭ থেকে ৮ জন করে আসেন। যারা যারা আসেন তাদের আমরা সাক্ষ্য নিয়ে নেই। ওই সাক্ষ্য নিতে গিয়ে দেখা যায়, কারও হাত বা কারও পা নেই, কেউ বিকলাঙ্গ আবার কেউ মস্তিস্ক বিকৃত মানুষ পাওয়া যায়। এ মামলা শেষ হতে কতদিন লাগবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য নেয়ার জন্য যথেষ্ট তৎপর এবং বিজ্ঞ আদালতও তৎপর।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৪৫ জন। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ মামলার বিচার শেষ হতে ঠিক কতদিন লাগবে, তা জানে না রাষ্ট্রপক্ষও।

রানা প্লাজার মামলায় আসামিদের পক্ষে কথা বলতে রাজি হয়নি কোনো আইনজীবী। এদিকে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার বিচার শেষ হতে দেরি হচ্ছে, এমন যুক্তিতে ৬ এপ্রিল হাইকোর্টে জামিন পান সোহেল রানা। পরে তা স্থগিত করে দেন চেম্বার আদালত। কিন্তু এর চূড়ান্ত শুনানি হবে ৮ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।

ঠিকানা/এসআর