ঠিকানা রিপোর্ট: পরম বৈষ্ণব ও সদা প্রচ্ছন্ন বিগ্রহ শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরের ৬৯তম তিরোধান উৎসব “পুণ্য অক্ষয় তৃতীয়া” উপলক্ষে আয়োজিত হরিনাম যজ্ঞ মহোৎসব সম্পূর্ণ সনাতনী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হলো গত ২১ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটস্থ ওঁম শক্তি মন্দিরে।
২ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ২০ এপ্রিল শুক্রবার অপরাহ্ন। সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিটে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা পাঠ (গীতা পাঠক: শ্রী রতন দাশ), শ্রীশ্রী ঠাকুর প্রসঙ্গ (আলোচক: শ্রী বিদ্যুৎ দাশ), হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে কৈবল্যনাথের চিত্রপট প্রতিস্থাপন, গঙ্গা আহবান, মঙ্গল ঘট স্থাপন ও সত্যনারায়ন পূজায় পৌরহিত্য করেন অসীত চক্রবর্ত্তী এবং প্রদ্যুষে উৎসব অধিবাস, পরিচালনায় কৃষ্ণপদ সেন, মানিক রায়সহ উপস্থিত সকল সনাতনী ভক্তবৃন্দ।
২১ এপ্রিল ব্রাহ্ম মুহূর্ত ৫:০১ মিনিটে কৈবল্যনাথের পূজা, মঙ্গলারতি ও বাল্যভোগ নিবেদনের মাধ্যমে হরিনাম যজ্ঞ মহোৎসবের শুভ সূচনা করেন ধ্রুব চক্রবর্ত্তি। সকাল ১০ টায় আরম্ভ হয় পঞ্চদেবতা, গনেষাদি ও বিষ্ণু পূজার মাধ্যমে গুরুপূজা। সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ আরম্ভ হয় ভোগারতী কীর্তন পরিচালনায় ডাঃ আশোক সাহা এবং তা চলতে থাকে দ্বিপ্রহর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। ক্ষণিকের মধ্যেই ওঁম শক্তি মন্দির ভক্তের সমাগমে হয়ে উঠে পুণ্য তীর্থ কৈবল্যধাম।
সায়াহ্নে আরম্ভ হয় শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ পূজা। রাত ১১ টায় নাম যজ্ঞানুষ্ঠানের সমাপনী অধ্যায়, যথাবিহীত সনাতনী শ্রাস্ত্রীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মহাপ্রভু প্রবর্তিত নাম ধর্মই যাতে কলিহত সংসার আসক্ত মানুষ আচার বিচার ও জাত-পাতের কুসংস্কারের বন্ধন ত্যাগ করে অতি সহজে ভব নদীর পাড়ে পৌছাতে পারে তারই পুনঃ প্রবর্তক দয়াবতার শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরের ৬৯তম তিরোধান বর্ষ উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটে।
নামামৃত পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন ইস্কন (জ্যামাইকা), মহানাম সেবক সঙ্গ, রাধাগোবিন্দ সম্প্রদায়, গুরুচক্র পরিবার ইউএসএ, ওঁম শক্তি মন্দির (জুনিয়র) ও গুরুচক্র পরিবার (জুনিয়র), জ্যামাইকা কালী মন্দির, ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ ইউএসএ, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ আন্তর্জাতিক মতুয়া মিশন ইন্ক, বাল গোপাল রাধাগোবিন্দ সম্প্রদায়, গৌরনিতাই মন্দির, রাধামাধব মন্দির, নিত্যানন্দ সম্প্রদায়, সনাতনী সেবা সঙ্গ, রাধাকৃষ্ণ সেবক সঙ্গ, সার্ব্বজনীন গীতা সঙ্গ, গীতা সঙ্গ, কৃষ্ণ ভক্ত সঙ্গ, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সঙ্গ ইউএসএ, সার্ব্বজনীন পূজা উদ্্যাপন পরিষদ, মহামায়া মন্দির, ওঁম শক্তি মন্দির। পুরোহিতের সহযোগিতায় ছিলেন নিরুপমা দাশ, সোমা কুন্ডু, শ্রীমতি রতœা দে রায়। কীর্ত্তন পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন রাম প্রসাদ দত্ত (স্বপন), সঞ্জয় দাশ, অনুপ দাশ, রতন দাশ এবং সন্জিত তালুকদার।
পূজা সফল করতে সহযোগিতা করেন দেবাশীষ দাশ বাবলু (প্রাক্তন সভাপতি), সভাপতি দীপক লাল কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ভৌমিক, বিপ্লব চক্রবর্ত্তি, জয়ন্ত নারায়ণ রায় চৌধুরী, রঞ্জিত দে রায়, তপন বণিক, কুমার বণিক, হেমন্ত পাল, সজন বণিক, সুজন চন্দ্র শীল, অনুপম হালদার, অশোক চক্রবর্তী, অরুণ বিকাশ পাল, বিশ্বজীত বিশ্বাস, বিষু চৌধুরী, বিপ্লব চক্রবর্ত্তী, বিপ্লব বনিক, বিপ্লব বিশ্বাস, বিভাষ গুপ্ত, দেবব্রত পোদ্দার, দেবাশীষ পাল, গৌতম মজুমদার, কাজল দে, কৌশিক কুমার ধর, লিটন কান্তি দে, লিটন পাল, মিঠু ঘোষ দস্তিদার, নির্মল দাশ, নিখিল চন্দ্র সাহা, প্রাণ গৌবিন্দ কুন্ডু, প্রবীর নন্দী, পিন্টু দত্ত, ডাঃ প্রতাপ চন্দ্র দাস, প্রীতম সিকদার, রাজু দত্ত, রতন সাহা, রতন বনিক, রঞ্জিৎ কুমার দাশ, রূপক নন্দী, সত্যজীত চন্দ, সেবু রঞ্জন সাহা, সঞ্জীব তালুকদার, সঞ্জয় দাশ, সমর কুমার পাল, সঞ্জিৎ কুমার বণিক, তপন মজুমদার, তপন দত্ত, উত্তম কুমার শীল, উত্তম কুমার দত্তসহ আরো অন্যান্য ভক্তবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন সার্থকতার জন্য সকল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গুরুচক্র পরিবারের সকল সদস্য সদস্যাবৃন্দ।