বিশ্বচরাচর ডেস্ক : গত চার মাসে তিনবার মুখোমুখি বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশ একত্রে সপ্তাহব্যাপী সামরিক মহড়ায়ও অংশ নিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও বাড়ছে। গত বছর যেখানে বাণিজ্য ৮৪ বিলিয়ন ডলার ছিল সেখানে চলতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে আশা।
যুক্তরাষ্ট্র আগেই হুমকি দিয়েছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো দেশ অস্ত্র কিনলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। সম্প্রতি চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ১০টি সুখই যুদ্ধ বিমান এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষপণযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। তাই চীনের সেনাবাহিনীর ক্রয় শাখা এখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। এই বিভাগ এবং তার পরিচালক লি শাংফু এখন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন না এবং মার্কিন অর্থ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন না। চীন অবশ্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই রাশিয়ার প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক সংস্থা রসোবোরোনেক্সপোর্ট এর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার মাধ্যমে বেইজিং মস্কোর সামরিক প্রযুক্তিতে প্রবেশ করল যা দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার কাছ থেকে সিরিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অভিজ্ঞতাও নেবে চীনা সেনাবাহিনী। রাশিয়া চীনকে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারে। আবার চীন রাশিয়াকে প্রযুক্তিগত সুবিধা দিতে পারে। কার্নেগী মস্কো সেন্টারের পরিচালক দিমিত্রি ট্রেনিন চায়না ডেইলিতে এক মতামত কলামে লিখেছেন, ভবিষ্যৎ বিশ্ব কেমন হবে সেই দিক থেকে প্রেসিডেন্ট শি এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভাবনাটা একই। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আর এককভাবে খবরদারি করতে দেবে না। এ জন্য বিভিন্ন শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউজ তৈরি করতে চায় দেশ দু’টি। রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে তুরস্ক এবং ভারতকেও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও দু’টি দেশই এ নিয়ে অনেকদূর এগিয়েছে।