ঠিকানা রিপোর্ট : বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসা স্বাভাবিক রাখতে এবং গ্রাহকদের ধরে রাখতে সম্প্রতি এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিউইয়র্কস্থ সোনালী এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসীদের অর্থ বাংলাদেশে পাঠিয়ে আসছে। চলতি বছর যখন ডলারের দাম অনেক বেশি বেড়ে যায়, তখন একই দামে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা দিতে না পারায় তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এরপর তারা অন্যান্য এক্সচেঞ্জের দেওয়া সমান হারে এক ডলারের বিপরীতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে দেশে অর্থ দিতে শুরু করে। পরে বাংলাদেশে ডলারের দাম এক ও অভিন্ন এমনটা বেঁধে দেওয়ার কারণে সব এক্সচেঞ্জকেই একই রেটে অর্থ প্রদান করা শুরু করতে হয়। সোনালী এক্সচেঞ্জ অন্য সব এক্সচেঞ্জের মতো রেট দেওয়ায় তাদের ব্যবসা ভালো হতে শুরু করে। পরে তারা ব্যবসা আরো ভালো করার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়। সেই হিসেবে তারা দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ফি মওকুফ করে দেয়।
সূত্র জানায়, সোনালী এক্সচেঞ্জ এখন দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করার জন্য কোনো ফি নিচ্ছে না। অন্যদিকে সোনালী এক্সচেঞ্জের পথ অনুসরণ করে বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং গ্রাহকদের বেশ সুবিধা দিতে আরও দু-একটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি রেমিট্যান্স পাঠানোর ফি মওকুফ করে। তবে এটি আপাতত করা হলেও একে স্থায়ী রূপ দিতে চান না তারা।
এ বিষয়ে সানম্যানের সিইও মাসুদ রানা তপন বলেন, আমরা ভালোই ব্যবসা করছিলাম। আমরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছি। সম্প্রতি দেখা গেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য নির্ধারিত ফি তুলে দেয়। মানুষ যখন দেখবে দেশে টাকা পাঠাতে কোনো এক্সচেঞ্জে ফি লাগে, আবার কোনোটিতে লাগে না, তখন যেখানে ফি নেই, সেখানেই বেশি যাবে। পরে গ্রাহক ধরে রাখতে আমরাও বিনা ফিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দিই। দেখা যাচ্ছে, ফি মওকুফের পর অনেক কাস্টমার আসছে। তার মতে, গ্রাহকদের বিনা ফিতে অর্থ পাঠানোর সুযোগ দেওয়া ঠিক নয়। সব প্রতিষ্ঠানকেই নিজেদের ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করেই ফি নেওয়া উচিত। তা না হলে বিভিন্ন খরচ নির্বাহ করে ভবিষ্যতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে। এতে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই ক্ষতির মুখে পড়বে।