রেলের অব্যবস্থাপনা: নভেম্বরে ফের আন্দোলনে নামার আশ্বাস রনির

ঠিকানা অনলাইন: রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে আন্দোলন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি বলেছেন, ‘আমি সন্তুষ্ট নই। আমি তাদের বলব, যে কথা আমাকে বারবার বলেছেন এটা জনগণকে বলে দেন। আমি আর কিছুদিন অপেক্ষা করব, যদি দাবি বাস্তবায়ন করে দেয় তাহলে ভালো। নয়তো এক নভেম্বর থেকে আবারও আন্দোলনে নামব।

আজ ১৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রেলমন্ত্রী ও রেলের মহাপরিচালকের আমন্ত্রণে রেলভবনে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, মন্ত্রী নমনীয়ভাবে আমার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন তোমার দাবিগুলো এভাবে না বলে আমাকে সরাসরি এসে বলতে পারতা। কিন্তু আপনারা তো জানেন রেল ভবনে ঢুকতেই দেয় নাই। এমন একটা প্রতিকূল অবস্থা তারা তৈরি করেছিলেন। পারলে মেরেই ফেলে।

রনি বলেন, ‘মন্ত্রী বলেছেন আমার যেই দাবি সেগুলো এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস কিংবা এক বছর, দুই বছরেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। আমি বললাম কেন সম্ভব নয়। তাহলে আমাকে কেন বলা হলো, সময় নেয়া হলো, বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এটা তো আমাকে ঠকানো হলো। আমাকে বলছেন, জনগণকে কেন আপনারা বলছেন না।’

রেলমন্ত্রী রেলের নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে রনি বলেন, ‘নানা সমস্যার কথা বলেছেন। আমি বললাম যে জনগণকে এটা বলেন। নয়তো সমাধান করে দেন। তখন তিনি বললেন তুমি আমার চেয়ারে এসে বস। বললাম আমি যদি আপনার চেয়ারে এসে বসি তাহলে আমি এটা করে দেখাব। তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি আমাকে রেলের ইতিহাস শোনালেন।’

রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসলে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে আপনার কতদিন সময় লাগবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি (মন্ত্রী) দুই বছরের কথা বলেছেন যে সম্ভব নয়। আমি এই দুই বছরেই করে দেখাব। যদি এই দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারে দুই বছর আমাকে দায়িত্ব দিক আমি এটা করে দেখাব। রেলের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সদিচ্ছার অভাব বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ৭ জুলাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান শুরু করেন এ শিক্ষার্থী। পরে তাকে রেলওয়ের অংশীজন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ঠিকানা/এসআর