ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী সম্মেলন উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।’ সমঝোতা ও শান্তির বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (৫ মে) সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন শুরু হয়।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের জনগণে সমস্যা দ্রুত সমাধানে ওআইসি কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলেও আমি আশা করছি। আমরা পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতা চাই। যুদ্ধ চাই না। সমঝোতা ও শান্তির বাণী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।’
সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পূর্ণ মানবিক কারণেই আমরা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) মানবতার পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যখন জাতিগত নির্মূলের শিকার তখন ওআইসি নিশ্চুপ থাকতে পারে না।’
তিনি বলেছেন, মুষ্টিমেয় কিছু লোকের জন্য শান্তি বিনষ্ট হতে পারে না। আমরা মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের ভবিষ্যৎকে আমরা নিজেরাই সুন্দর করে সাজাব। নিজেদের সমস্যা আমরা নিজেরাই সমাধান করব। রক্তপাত আরও খারাপ পরিস্থিতির জন্ম দেয়। কারও প্ররোচনায় আমরা নিজেরা হানাহানিতে জড়াব না।
শেখ হাসিনা বলেন, সময় এসেছে আমাদের যৌথ কর্মকৌশল গ্রহণের। এর মাধ্যমে মুসলিম বিশ্ব এগিয়ে যাবে। মুসলমানদের যে মেধা এবং সম্পদ রয়েছে তাতে পিছিয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস দমনে চার দফা পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
৫৬টি ওআইসি সদস্য দেশের মধ্যে ৫২টি দেশের ৬০০ প্রতিনিধি এতে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া ৪০ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত আছেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’।